শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ

0
49

নিউজ ডেস্ক: অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পায়নি পুলিশ।

মামলাটিতে দেয়া প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাহাবুবুর রহমান। গত ২ অক্টোবর তিনি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। মামলার বাদী অনলাইন নিউজ পোর্টাল স্টুডেন্ট জার্নালবিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিবেন বলে আদালতকে জানান। আদালত আগামী ২৫ নভেম্বর নারাজির বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

এদিকে প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত ২৪ এপ্রিল প্রেসক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু-৩৬৫’ এর উদ্ধোধনকালে মিডিয়া কর্মীসহ সরকারি উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও সেলিব্রেটি ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষের উপস্থিতিতে শমী কায়সার এর দুটি ফোন খোয়া যায়। ফলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। খোয়া যাওয়া স্মার্ট ফোন দুটি উদ্ধারের লক্ষ্যে ওই স্থানে আগত কিছু সংখ্যক লোককে চেক করার জন্য তার সহকর্মীদের বললেও তারা কাউকে চেক করেননি। কিন্তু শমী কায়সারের কথায় ওই স্থানে উপস্থিত কতিপয় সংবাদকর্মী চোর সম্বোধন করেছে মর্মে ভুল বুঝেছেন। পরবর্তীতে শমী কায়সার ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তারপরও বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সার্বিক তদন্তে বিবাদী শমী কায়সার কর্তৃক বাদীর মানহানির কোন ঘটনা ঘটে নাই মর্মে প্রকাশ পায়।

বাদী নুজহাতুল হাসান বলেন, প্রেসক্লাবের মত জায়গায় শমী কায়সার সাংবাদিকদের চোর বলে সম্বোধন করে সাংবাদিক সমাজের মানহানি করেন। তার ওই বক্তব্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনের আসে। তারপরও পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি। আমরা এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করবো। এজন্য সময় আবেদন করি। আদালত আগামী ২৫ নভেম্বর মামলাটির শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান ৩০ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করেন।

বাদীর অভিযোগ, গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু-৩৬৫’ উদ্বোধনকালে সংবাদকর্মীসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য মানুষের উপস্থিতিতে শমী কায়সার তার দুটি স্মার্ট ফোন খোয়া গেছে মর্মে অভিযোগ করেন।

সেখানে শমী কায়সার সাংবাদিকদের চোর বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের আটকে রাখেন এবং তার দেহরক্ষীরা সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে শমী কায়সার আধা ঘণ্টা গেটে দাঁড়িয়ে থেকে সাংবাদিকদের দেহ তল্লাশি করান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here