বাংলা খবর ডেস্ক: ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সিনেমার পরিচালক এখন হোটেল বয়। সিনেমার বানানোর নেশা তাকে নিঃস্ব করেছে। বিক্রি করেছেন নিজের বাড়ি, স্ত্রীর গয়না। এরপরেও ছবির অর্থের জোগান না হওয়ায় সুদের ওপর ঋণ নিয়েছেন। ভেবেছিলেন সিনেমা মুক্তি পেলে হয়তো তার দিন বদলাবে। কিন্তু সেই সোনালি দিন এখনও সেটি আর হলো না। কোনও আয় না থাকলেও প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে ঋণের সুদ বাড়ছে। আর অভাব হানা দিয়েছে পরিচালকের দুয়ারে। গল্পটি তরুণ পরিচালক অরণ্য পলাশের।
তরুণ এই পরিচালক সিনেমা করতে এসে একে একে হারিয়েছেন অনেক কিছু। এমনকি জীবনের এক পর্যায়ে তাকে ছেড়ে গেছে আত্মীয়-স্বজন। ছেড়ে গেছে ভালোবাসার মানুষ স্ত্রী। প্রচলিত সেই প্রবাদ- অভাব যখন দুয়ারে হানা দেয় ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায় এখন মিলে গেছে এই পরিচালকের জীবনের সঙ্গে।
বেঁচে থাকার তাগিদে হোটেলের বয় হিসেবে চাকরি নিয়েছেন অরণ্য পলাশ। দৈনিক ২৫০ টাকা হাজিরা ও তিন বেলা খাওয়ার চুক্তিতে রেস্তোঁরায় কাজ করছেন।
অরণ্য পলাশ নির্মাণ করেছেন ‘গন্তব্য’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র। চিত্রনায়ক ফেরদৌস, নায়িকা আইরিনকে জুটি করে ছবিটি নির্মাণ করেছেন তিনি। এ ছবিতে আরও আছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী রাজু, আফফান মিতুলসহ অনেকে। ছবিটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত পরিচালক ছবিটি মুক্তি দিতে পারেননি।
পলাশের ভাষ্য মতে, পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটির প্রযোজকও আমি। আমার সর্বস্ব শেষ করে ‘গন্তব্য’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে সুদে ঋণ নিয়ে, জমি বিক্রি, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছি। ছবির সেন্সরও পেয়েছি অনেক দিন হয়। কিন্তু ছবিটি মুক্তি দেয়ার জন্য টাকা আমার কাছে নেই। অভাব পড়ে বিধ্বস্ত আমি। সবাই আমাকে ছেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে এখন মিরপুরে একটি রেস্তোরাঁয় হোটেল বয়ের কাজ করছি।