বাংলা খবর ডেস্ক: নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে মিসর থেকে সাত-আট হাজার টন পেঁয়াজ আনা হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘চালান না পৌঁছানো পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমার কোনো সুযোগ নেই।’
সোমবার নগরীর একটি হোটেলে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) আয়োজিত বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে ২০১৯-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন টিপু মুনশি। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের চালান দেশে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার আগে পেঁয়াজের দাম কমার কোনো সুযোগ নেই। আশা করি, পেঁয়াজের নতুন চালান আসার পর বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ব্যয় সোমবার প্রতি কেজি ৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা প্রায় ১৫ দিন আগে ছিল ৪২ টাকা।’
দেশের সাত থেকে আট লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি দূর করতে ভারত থেকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয় উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে এ জাতীয় সংকট রোধ করতে তাঁরা স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
টিপু মুনশি দাবি করেন, পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকটের পেছনে একদল অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন। সারা দেশে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে বাংলাদেশে সাধারণত ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু এ বছর দেশটির মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ১৩ সেপ্টেম্বর রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন দাম ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয় ভারত। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে।
বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি ও বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। তবে সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।