বাংলা খবর ডেস্ক: সিনেমায় লিঙ্গ বৈষম্য বহু পুরনো অভিযোগ। বলিউডে লিঙ্গ-বৈষম্য নিয়ে অনেক ঘটনাও ঘটেছে নানা সময়ে। সরব হয়েছেন অনেক নামী অভিনেত্রীরা। অনেকে নিজেদের পারিশ্রমিক পুরুষদের সমান দাবিও করেছেন।
বহুদিন ধরেই নায়িকা, অভিনেত্রীরা পারিশ্রমিকে লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাদের দাবি, ছবিতে অভিনেত্রীদের যতই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থাকুক না কেন, নায়করা তাদের তুলনায় অনেক বেশি পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। এমনকী, নবাগত নায়করাও নাকি বহু প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীর তুলনায় বেশি পারিশ্রমিক পান।
এই বিষয়ে অনেকদিন ধরেই সরব অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। আরও একবার তিনি এ নিয়ে তোপ দেগেছেন। লিঙ্গ-বৈষম্য এবং বেতন-বৈষম্য মেটাতে আরও অনেক দূর যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তাপসী।
তার মতে, একমাত্র বক্স অফিসের সাফল্যই এই ছবিটা বদলাতে পারে। এ বিষয়ে আগেও খোলাখুলি নিজের মত জানিয়েছেন তাপসী। গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৫০তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ায় (ইফি) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ‘পিংক’-এর অভিনেত্রী নতুন করে সেই প্রসঙ্গ তোলেন।
তাপসী বলেন, ‘নামী নায়কদের পারিশ্রমিকের অর্ধেক টাকায় একটা নারীকেন্দ্রিক সিনেমার গোটা বাজেট হয়ে যায়। এমনকী, তিনি যদি প্রথম সারির অভিনেত্রী হন, তাহলেও। নায়কদের অর্ধেক পারিশ্রমিকও বলিউডের নায়িকা-অভিনেত্রীরা পান না। সত্যি কথা বলতে, কখনও সেটা নায়কদের টাকার এক-চতুর্থাংশ হয়ে যায়।
এই ব্যবধান ও বৈষম্য দূর করতে হলে আমাদের অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। এমনটা মেনে নেওয়া যায় না।’
‘বদলা’, ‘বেবি’, ‘নাম শাবানা’, ‘মুল্ক’, ‘মিশন মঙ্গল’, ‘সান্ড কি আঁখ’-এর মতো বহু ছবিতে তাপসীর অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসেই তাপসী বলেছেন, ‘একমাত্র বক্স অফিসের সাফল্যই এই পরিস্থিতি বদলাতে পারে। আশা করি, আমার জীবদ্দশাতেই এই পারিশ্রমিক-বৈষম্য দূর হবে। যত বেশি মানুষ নারীকেন্দ্রিক সিনেমা দেখতে আসবেন, তত এই ছবি বদলে যাবে। গত চার-পাঁচ বছরে প্রচুর নারীকেন্দ্রিক ছবি তৈরি হয়েছে, সফলও হয়েছে। কিন্তু ফারাকটা এখনও অনেক বেশি।’
২০১০-এ তেলুগু ছবি দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ তাপসীর। তারপর শুধু তেলুগু নয়, তামিল, মালয়ালম ও হিন্দি ভাষার সিনেমাতেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।