বাংলা খবর ডেস্ক: অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে কেউ পার পাবে না- এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ জনগণের কল্যাণে ব্যয় হবে। জনগণের অর্থ কারও ভোগ-বিলাসের জন্য ব্যয় হবে না। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিরিয়ানি-পোলাও খাওয়ার চেয়ে সাদাসিধে জীবনযাপন করা অনেক সম্মানের।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি, এটা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান এটাও অব্যাহত থাকবে। কেউ অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করবেন, বিলাসবহুল জীবনযাপন করবেন, আর যে সৎভাবে জীবনযাপন করবেন তিনি সাদাসিধে জীবনযাপন করে কষ্ট পাবেন, এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থে বিরিয়ানি-পোলাও খাওয়ার চেয়ে সাদাসিধে জীবনযাপন করা অনেক সম্মানের। অন্তত সারাক্ষণ ওই অবৈধ চোরা টাকার কথা মনে আসবে না। শান্তিতে ঘুমানো যাবে।’
টাকা বানানোর নেশাকে রোগ হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে টাকা বানানো একটা রোগ, এটাও একটা ব্যাধি, এটা একটা অসুস্থতা। একবার যে টাকা বানাতে থাকে তার শুধু টাকা বানাতেই ইচ্ছে করে। কিন্তু ওই টাকার ফলে ছেলে-মেয়ে বিপথে যাবে। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা নষ্ট হবে। মাদকাসক্ত হবে সেটা দেখারও সময় নেই- টাকার পেছনে ছুটছে তো ছুটছেই। আর নিজের পরিবার ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। কাজেই এ ধরনের একটা সামাজিক অবস্থা আমরা চাই না।’
নেতাকর্মীদের জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে চলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা সারা জীবন সাদাসিধে জীবনযাপন করে গেছেন। যারা তার আদর্শের সৈনিক তাদের সেভাবেই চলতে হবে।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।