কিডনি দান করা যাবে, কেনাবেচা যাবে না: হাইকোর্ট

0
70

বাংলা খবর ডেস্ক: মানবিক বিবেচনায় ও সহানুভূতিশীল যে কেউ কিডনি দিতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে মাদকাসক্ত ও কেনাবেচা করেন এমন কিডনি দেয়া যাবে না বলেও আদেশ দেন আদালত।

সাড়ে চার বছর আগে করা এক রিটের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার নীলিমা ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ। এর আগে ৭ নভেম্বর কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ে সাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কমিটি আদালতে মতামত দাখিল করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রো-ভিসি ও বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা.মুহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটিতে ছিলেন কিডনি ফাউন্ডেশনের চিফ কনসাল্ট্যান্ট অধ্যাপক ডা. হারুন-উর-রশিদ, বিএসএমএমইউ’র নেপ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.আসিয়া খানম, বিএসএমএমইউ’র ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশীদুল আলম, বারডেম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মির্জা এম এইচ ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম এবং জাতীয় কিডনি ডিজিস ও ইউরোলজি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল হুদা।

তারা বলেছেন, আত্মীয় নন, এমন কারও কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন নেই। আইনের বাইরে অন্য কারও কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হলে দেশের দরিদ্র মানুষের জীবন সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ধনীরা বাণিজ্যিকভাবে এর ব্যবহার করবে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচারের মাত্রা বাড়বে বলে অভিমত দেয় এ বিশেষজ্ঞ কমিটি।

তবে সাত সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন বিষয়ে দেশের বর্তমান আইন সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। এই আইনে নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কারও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করার সুযোগ নেই। তাই একজন সুস্থ মানুষ চাইলে অন্য কাউকে তার অঙ্গ দান করতে পারেন, এমন আইন থাকা দরকার।

ফাতেমা জোহরা নামের একজন নারী ২০১৫ সালে তার মেয়ে ফাহমিদাকে একটি কিডনি দান করেন। এরপরও মেয়ের কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দাতা পেলেও আইনগত বাধার কারণে মেয়েকে আর কিডনি দিতে না পেরে রিট আবেদন করেন।

মানবদেহে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে হাইকোর্ট গত ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট এক আদেশে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন-১৯৯৯-এর তিনটি ধারা (২গ, ৩ ও ৬) কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে গত ২৯ নভেম্বর রুলের শুনানি শেষে এ বিষয়ে ৫ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তিতুমীর হলের আট শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে র্যা গিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক এবং বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের সদস্যসচিব মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজীবন বহিষ্কার ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. তানভীর হাসনাইন, মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুস্তাসিন মঈন, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ খান, মহিবুল্লাহ হক ও আনফালুর রহমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here