বাকীর হতাশ করা দিনে প্রাপ্তি ৫ রুপা

0
60

বাংলা খবর ডেস্ক: এসএ গেমসে আরেকটি স্বর্ণ পদকহীন দিন পার করল বাংলাদেশ। শুটিংয়ে ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইল ইভেন্টে আব্দুল্লাহ হেল বাকীকে নিয়ে স্বর্ণ প্রত্যাশা থাকলেও ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। অ্যাথলেটিকসের ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটের পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ফাইনালে খেলতে পারেননি জহির রায়হান। যাকে নিয়েও ছিল প্রত্যাশা।

দিনটা ৫ রুপা ও ১৩ ব্রোঞ্জে কাটিয়েছে বাংলাদেশ। সবমিলে পঞ্চম দিন শেষে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৪ স্বর্ণ, ১৩ রুপা ও ৪৪টি ব্রোঞ্জসহ ৬১ পদক।

৫ রুপার পদকের দুটি করে এসেছে ভারোত্তোলন ও উশু থেকে। একটি এসেছে মেয়েদের শুটিং ইভেন্ট থেকে। এদিকে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে ফুটবল দল। আর নারী ক্রিকেটে মালদ্বীপকে মাত্র ৬ রানে অল আউট হরে দিয়ে ২৪৯ রানের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

উশুতে মর্জিনা ও সজীবের রুপা

নান চুয়ান নান দা অলরাউন্ড ইভেন্টে বাংলাদেশকে রুপার পদক উপহার দিয়েছেন মর্জিনা আক্তার। শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা মর্জিনা হেরে যান নেপালের প্রতিযোগীর কাছে। ১৮.৯১ পয়েন্ট নিয়ে সোনা জিতেছেন নেপালের নিমা ঘারতি মাগার। মর্জিনার পয়েন্ট ১৬.৩০। শ্রীলঙ্কার সাঞ্জু কুমারি ১৪.৭৪ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ পান।

ছেলেদের ৫৬ কেজি সানদায় ভারতের উচিত শর্মার কাছে হেরে রুপা পান সজীব হোসেন। পুরুষ দাও শু অলরাউন্ড ইভেন্টে রাশেদ হোসেন ও উশুর তাইজি-তাইজি জিয়ান অলরাউন্ড ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন দীপ্তি দাস।

ভারোত্তলনে ফুলপতি ও রাজকুমারের রুপা

পোখারায় মেয়েদের ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে বাংলাদেশের ফুলপতি চাকমা রুপার পদক জিতেছেন। স্ন্যাচে ৬৩ কেজি এবং ক্লিন এন্ড জার্কে ৮৫ কেজি মিলিয়ে সর্বমোট ১৪৮ কেজি ওজন তুলে রৌপ্যপদক জেতেন তিনি। ভারতের বিন্দিয়ারানী দেবী ১৭১ কেজি তুলে স্বর্ণ এবং পাকিস্তানের সাইমা শাহাজাদ ১৩৫ কেজি ওজন তুলে ব্রোঞ্জ পান।

ছেলেদের ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে রুপা জয় করেন রাজকুমার রায়। স্ন্যাচ (৮০) এবং ক্লিন এন্ড জার্ক (১০৪) মিলিয়ে ১৮৪ কেজি তুলেছেন তিনি। এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন শ্রীলঙ্কার ওয়াইডিআই কুমারা (মোট ২৩৫ কেজি)। ব্রোঞ্জ নেপালের তুলারামের (মোট ১৭৮ কেজি)।

ছেলেদের ৬১ কেজি ওজন শ্রেণীতে বাংলাদেশের মোস্তাইন বিল্লাহ সব মিলিয়ে ২৩৫ কেজি ওজন তুলে ব্রোঞ্জ পান। মেয়েদের ৪৯ কেজি ওজন শ্রেণীতে মোল্লা সাবিরা সুলতানা সবমিলিয়ে ১৩০ কেজি ওজন তুলে ব্রোঞ্জ পান। ৫৯ কেজিতে ফাহিমা আক্তার ময়না ব্রোঞ্জ পান।

শুটিংয়ে রত্না-দিশা-টুম্পা ত্রয়ীর রুপা

মেয়েদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে দলগত ইভেন্টে ১৮৩১.১ স্কোর রুপার পদক জিতেছে বাংলাদেশ। সৈয়দা আতকিয়া হাসানা দিশা (৬১৫.৭), উম্মে জাকিয়া সুলতানা টুম্পা (৬১২.২) এবং শারমিন আক্তার রত্না (৬০৩.২) এক সাথে দেশকে এই এভেন্টে রৌপ্য পদক এনে দেন।

মেয়েদের ৫০মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনের এককে দিশা ষষ্ঠ এবং টুম্পা সপ্তম হন। রত্না ফাইনালে যেতে পারেননি।

ছেলেদের ১০মিটার এয়ার রাইফেল এককে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন আব্দুল্লাহ হেল বাকী। রবিউল হোসেন এবং রাব্বি হাসানকে নিয়ে দলগত ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ পান তিনি।

সাঁতারে জুনাইনার ব্রোঞ্জ

মেয়েদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ২ মিনিট ১২.৮৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন জুনাইনা আহমেদ। নেপালের গৌরিকা সিং স্বর্ণ ও শিবাঙ্গী শর্মা রুপা জিতেছেন।

ছেলেদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে মাহমুদুন্নবী নাহিদ ৫৫ দশমিক ২৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পান। শ্রীলঙ্কার ম্যাথু ডানকান স্বর্ণ ও ভারতের রাজেন্দ্র মিহির রুপা জয় করেন।

৪*১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে আসিফ রেজা-আরিফুল ইসলাম-মাহমুদুন্নবী নাহিদ-মাহফিজুর রহমান সাগর ৩ মিনিট ৩০ দশমিক ৭২ সেকেন্ড সময় নিয়ে বাংলাদেশকে ব্রোঞ্জ এনে দেন। এই ইভেন্টে স্বর্ণ শ্রীলঙ্কার, রৌপ্য ভারতের।

অ্যাথলেটিকস

দশরথ স্টেডিয়ামে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটে বাংলাদেশের জহির রায়হান তৃতীয় এবং আবু তালেব অষ্টম হয়ে ফাইনালে উন্নীত হন। তবে অসুস্থতার কারণে তারা ফাইনালে অংশ নিতে পারেননি। রেস শেষে দুজনই শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় পাশের ব্লু-ক্রস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক পবন রাওয়াল বলেন, ‘দুজনের পালস রেট স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এ অবস্থায় আমরা তাদের ফাইনালে অংশ নেয়ার অনুমতি দিতে পারছি না।’

তায়কোয়ান্দো

পুরুষ অনূর্ধ্ব-৮৭ কেজিতে ব্রোঞ্জ জিতেছেন রাসেল খান। নেপালের প্রতিযোগীর কাছে হারেন রাসেল। অনূর্ধ্ব-৬৭ কেজিতে সালমা খাতুন নেপালের প্রতিপক্ষের কাছে হেরে ব্রোঞ্জ পান।

ক্রিকেট

মেয়েদের ক্রিকেটে মালদ্বীপকে ২৪৯ রানে হারায় বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ২৪৯ রান তোলে বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা ১১৩ ও ফারজানা হক ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন। বড় লক্ষ্যে নেমে ১১ ওভারে ৬ রান তুলে অলআউট হয় মালদ্বীপ। রিতু মনি ৩ উইকেট নেন।

ফুটবল

অবশেষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হার মানে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে।

হ্যান্ডবল

পোখারায় ছেলেদের হ্যান্ডবলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩৮-২২ গোলে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ১৬-১০ গোলে এগিয়ে ছিল। প্রথম ম্যাচে ভারতের সাথে লড়াইয়ের পর ৪২-৩৩ গোলে হার মানে তারা।

মেয়েদের হ্যান্ডবলে নেপালের কাছে ২৬-২৪ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ১৩-১২ গোলে এগিয়ে ছিল।

কাবাডি

ছেলেদের বিভাগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৩৭-২১ পয়েন্টে হেরেছে বাংলাদেশ। মেয়েদের বিভাগে ভারতের কাছে হেরেছে ৪৭-১৬ পয়েন্টে ।

ব্যাডমিন্টন

মিক্সড ডাবলসের সেমি-ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে সালমান খান-ইশরাত জাহান উর্মি জুটি ১৩-২১, ৯-২১ ব্যবধানে হারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here