বাংলা খবর ডেস্ক: মাত্র ১১ বছর বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলো পরিবার। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য মেয়ে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পালিয়ে এসেছিলো আর্চারি ফেডারেশনের ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায়। দৃঢ় আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রমের ফল শেষ পর্যন্ত পেলো মেয়েটি।
চুয়াডাঙ্গার ইতি খাতুনই সে মেয়ে। যে সাউথ এশিয়ান গেমসের ১৩তম আসরে মেয়েদের রিকার্ভ দলগত, মিশ্র ও ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে তিনটি সোনাজয় করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন। আজ দিনের শুরুতেই ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতেন অপ্রতিরোধ্য ইতি।
এর আগে গতকাল মেয়েদের রিকার্ভ দলগত ইভেন্টে ভুটানের বিপক্ষে ৬-০ সেট পয়েন্টে জিতে মেয়েরা। পরে রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টে রোমান সানার সঙ্গে ভুটানকে ৬-২ সেট পয়েন্টে হারিয়ে সোনার পদক জিতেন ইতি।
ইতির এই সিনেমাটিক জীবনকাহিনীর পেছনে অবদান রয়েছে আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপলের। তার প্রচেষ্টাতেই ইতির আর্চার হয়ে ওঠা। তবে এই অপরিচিত খেলাটি নিয়ে শুরুতে কোনো স্বপ্ন ছিল না ইতির। তিনি চেয়েছিলেন পড়াশোনা করতে। পড়াশোনা করবেন বলেই তিনি বিয়ের আসর থেকে উঠে গিয়েছিলেন। চুয়াডাঙ্গার ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় নজরে পড়েন কোচদের। তীরন্দাজ সংসদ তাকে দলে নেয়। সেই ইতি এখন দেশের গর্ব। তার স্বপ্ন এখন বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়া।