শিক্ষকদের গ্রেড নিয়ে হাইকোর্টের রুল

0
73

বাংলা খবর ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) পদমর্যাদায় তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১১ ও ১২তম গ্রেড দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৭ জন প্রধান শিক্ষকের করা এক রিট আবদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপ্রতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাম্মী আক্তার। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. জেআর খান (রবিন)।

চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পরে জেআর খান রবিন সাংবাদিকদের জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতকরণপূর্বক বেতন স্কেল যথাক্রমে ১১নং গ্রেড ও ১২নং গ্রেডে উন্নীত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না সে মর্মে জনপ্রশাসন সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে কেন প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ, ১০ম গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হবে না সে মর্মেও রুল জারি করা হয়েছে।

শাম্মী আক্তার বলেন, ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশ অনুযায়ী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির গ্রেড (১১-২০ পর্যন্ত) পদে নিয়োগ, পদোন্নতি, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হয়। কিন্তু ২০১৪ সালের ৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ২য় শ্রেণিতে উন্নীত করলেও তাদের গ্রেড দেয়া হয়েছে ১১ ও ১২, যা অসাংবিধানিক। ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে টাঙ্গাইলের আতাবারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা খাতুনসহ ৭৭ জন এ রিট দায়ের করেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here