আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যায় না : প্রধানমন্ত্রী

0
554

বাংলা খবর ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা এদেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন, যাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের নামটাও মুছে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সেটাতো মুছে ফেলতে পারেনি। কারণ আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যায় না। কখনো বৃথা যায় নাই। সেটা প্রমাণ হয়েছে এখন বাংলাদেশে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রতিটি কাজ আপনারা দেখবেন- একেবারে তৃণমূলে মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করব সেখান থেকে আমাদের সব পরিকল্পনা। তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি, এই দেশের যেন কোনোদিন আর কারও কাছে হাত পেতে চলতে না হয়।

১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জিয়াউর রহমান খুনের সঙ্গে জড়িত, ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত।

বঙ্গবন্ধুর অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা, মিথ্যা ইতিহাস তৈরি করা, মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কিন্তু সত্যকে কেউ কখনো একেবারে মুছে ফেলতে পারে না। আজ সেটা প্রমাণ হয়েছে সারাবিশ্বের কাছে, বাংলাদেশের জনগণের কাছে। আজকের প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পেয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ এটা মুছে ফেলতে পারবে না।

রাজাকারদের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজাকাররা মন্ত্রী হয়ে দেশ ধ্বংস করেছে। দেশটা যে লাখো শহীদের রক্তে স্বাধীন হয়েছে তার বিষয়ে তাদের কোনো সহানুভূতি ছিল না। পাকিস্তানের প্রতি যে তাদের একেবারে গভীর আনুগত্য। সেই আনুগত্যই তারা দেখিয়ে গেছে। তাদেরই তোষামোদি-খোশামোদি করে গেছে, করে যাচ্ছে এখনও।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, খন্দকার মোশতাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ছিলেন জিয়া। মোশতাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ছিলেন বলেই মোশতাক জিয়াকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত না-ই থাকবেন, তবে খন্দকার মোশতাক তাকে কেন সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন?

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ভবিষ্যতে জনগণের ভাগ্য নিয়ে যেন কেউ আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য সতর্ক থাকতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশবাসীকে মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশের মাটিতে মীরজাফর ও খন্দকার মোশতাকের মতো বিশ্বাসঘাতকরা জন্মেছিলেন এবং যুগে যুগে ‘খুনি জিয়ার’ মতো মানুষ আসতেই থাকবে।

তিনি বলেন, তাই যুবসমাজসহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম দায়িত্ব নিতে হবে এবং কেউ যেন মানুষের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ও উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here