বাংলা খবর ডেস্ক: গৌরব ও প্রাণের স্পন্দন আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নামক এই ছোট্ট ভূখণ্ডটি পাকিস্তানি হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই করে নিয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সেই গৌরবময় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে পর্তুগালের বাংলাদেশ দূতাবাস।
স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে লিসবন দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী তৃতীয় সচিব আবদুল্লা আল রাজি ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।
বিকেল চারটায় দ্বিতীয় পর্বের কর্মসূচি শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে দূতাবাসের তৃতীয় সচিব আবদুল্লা আল রাজির সঞ্চালনায় প্রথমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও পরে জাতীয় সংগীত এবং এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সভার সূচনা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দূতাবাসের কর্মকর্তা, পর্তুগাল আওয়ামী লীগ, পর্তুগাল ছাত্রলীগ, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতে একে একে পড়ে শোনানো হয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী। বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রানা তাসলিম উদ্দিন, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের জহিরুল আলাম জসিম, আবুল বাশার বাদশা, মাঈন উদ্দিন মাস্টার, দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, রনি হোসাইন, জাকির হোসেন, পর্তুগাল ছাত্রলীগের আনসার আলী, বদরুল হোসেন রতন, শাহীন দর্জি প্রমুখ।
এই সময় বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ নিহত বাংলার শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের প্রশংসা করেন।