জয় পেল কুমিল্লা

0
65

বাংলা খবর ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু বিপিএল টুর্নামেন্টে মঙ্গলবার শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করেছে কুমিল্লা। এ দিন ম্যাচে প্রতি মুহূর্তে ছড়িয়ে ছিল উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। তবে শেষ হাসি হাসল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ডেভিড মালানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উত্তেজনাকর ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতেছে কুমিল্লা। তাদের জয়টি মূলত ২ উইকেটের। কিন্তু শেষ ওভারে মাঠে ঢুকেও বেরিয়ে আসায় রিটায়ার্ড আউট হলেন সানজামুল। কুমিল্লার অবশ্য তাতে আক্ষেপের কারণ নেই। সানজামুলের বদলে নেমে মুজিবই তো হয়ে গেলেন শেষ বলের নায়ক। এ জয়ে ম্যাচসেরা পুরস্কার পেয়েছে ডেভিড মালান। তবে মজার বিষয় হলো এমন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের পরও অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে কোনো পরিবর্তন আসেনি। কেননা ৯ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে এখনো শীর্ষেই রয়েছে চট্টগ্রাম। এ ছাড়া ৮ ম্যাচে ৩ জয় পাওয়া কুমিল্লা রয়ে গেছে নিজেদের পঞ্চম স্থানেই।

মঙ্গলবার (৩১ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ১৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সতর্ক শুরু করে কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ রান তোলেন স্টিয়ান ভ্যান জেল ও রবিউল ইসলাম। লিয়াম প্লাংকেটের বলে ফিনিশ হন ভ্যান জেল। ওয়ানডাউনে নেমে রবিকে নিয়ে এগিয়ে যান ডেভিড মালান। ভালোই খেলছিলেন দুজনে। তবে মেহেদী হাসান রানার বলে আউট হন রবি।

এরপর জিয়াউর রহমানের শিকার হয়ে তড়িঘড়ি ফেরেন সৌম্য সরকার। ফলে বেশ চাপে পড়ে কুমিল্লা। এ অবস্থায় সাব্বির রহমানকে নিয়ে জুটি গড়ে মালান। তবে দারুণ খেলতে থাকা সাব্বির ব্যক্তিগত ১৮ রানে আউট হলে ফের বিপর্যয়ে পড়ে কুমিল্লা। এরপরই রুবেল হোসেনের বলে সোজা বোল্ড হয়ে ফেরেন ডেভিড উইজ। এক বলের ব্যবধানে রিভার্সসুইং তারকার শিকার হন নাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

সতীর্থরা বিরতিতে যাওয়া-আসা করলেও লড়াই চালিয়ে যান মালান। তবে জয় থেকে দূরে থাকতে বিদায় নেন তিনিও। রানআউটে কাটা পড়েন। ফেরার আগে ৫১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন কুমিল্লা অধিনায়ক। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩ রান। বাউন্ডারি মেরে তা নিশ্চিত করেন আফগান মুজিব-উর রহমান। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স আর জুনায়েদ সিদ্দিকী। ৬৯ বলে ঝড়ো উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেন ১০৩ রান। ক্রিজে এই জুটি যখন চোখ রাঙাচ্ছিল, তখন কুমিল্লার মুখে হাসি ফোটান বোলার সৌম্য সরকার। হাফসেঞ্চুরিয়ান সিমন্সকে সানজামুলের ক্যাচ বানিয়ে বড় ওপেনিং জুটিটা ভাঙেন ডানহাতি এই পেসার। ৩৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সিমন্স করেন ৫৪ রান। পরের ওভারেই রানআউট হয়ে যান আরেক সেট ব্যাটসম্যান জুনায়েদ। ৩৭ বলে ৬ চারে তিনি ৪৫ রান করেন। তার পরের ওভারে ফের আঘাত সৌম্যর। এবার তার শিকার রায়ান বার্ল। ১৫তম ওভারে ৯ রান করে সানজামুলের কাছে উইকেট দেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। এরপর প্রায় একাই দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি শেষ পর্যন্ত ২১ বলে ৪ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। কুমিল্লার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল সৌম্য সরকার। ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় তিনি নেন ২টি উইকেট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here