বাংলা খবর ডেস্ক: রাজধানীর কুর্মিটোলায় শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনাসহ চার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছিলেন সিফাতুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে সংহতি জানিয়ে অনশনে যোগ দিয়েছেন আরও দুই শিক্ষার্থী।
সোমবার রাত নয়টা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তারা বলছেন, চার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।
জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনার খবর জানার পরপরই রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাতুল ইসলাম। রাত পেরিয়ে সকাল হলে বেলা সাড়ে দশটার দিকে যোগ দেন তার দুই বন্ধু ডাকসুর সদস্য সাইফুল ইসলাম রাসেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নাফিজ।
চারটি দাবি হল- ‘ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা; সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন; ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার নিষ্পত্তি; ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।’
এই বিষয়ে সিফাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এক বোনের ওপর মানুষরুপী পশু পাশবিক নির্যাতন করেছে। এই ঘটনা শোনার পর থেকে আমি স্থির থাকতে পারিনি। বিচারের দাবিতে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চারটি দাবি জানিয়েছি। আমার দুইজন বন্ধুও আমার সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।’
প্রসঙ্গত, ক্লাস শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রাজধানীর শেওড়া এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ভুল করে কুর্মিটোলা স্টপেজে নামলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি জোরপূর্বক তাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। চেতনা ফিরে পেয়ে মেয়েটি সিএনজি করে বান্ধবীর বাসায় পৌঁছায়। পরে তার সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।