৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে রাজশাহী

0
73

বাংলা খবর ডেস্ক: ১৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে রাজশাহী রয়েলস। বিপিএল ফাইনালে ওঠার ম্যাচে মাত্র ১৪ রানে দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ও লিটন কুমার দাসের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলকে বিপদমুক্ত করার আগেই সজঘরে ফেরেন অলক কাপালি। ৩৪ রানে নেই টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজশাহীর সংগ্রহ ৬ ওভারের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান। ২০ রানে ব্যাট করছেন ইরফান শুক্কর। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন শোয়েব মালিক।

চট্টগ্রাম ১৬৪/৯

জিতলেই বিপিএলের ফাইনালে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ক্রিস গেইল। তার ফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিং একটা সময়ে রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

কিন্তু ২ উইকেটে ৯৭ রান করা দলটি এরপর ২৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন গেইল। বিপিএল সাত আসরের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে ভালো বোলিং করতে হবে চট্টগ্রামকে।

অন্যদিকে রাজশাহী রয়েলকে বিপিএলে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে হলে ১৬৫ রান করতে হবে। এর আগে ২০১৬ সালের ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল রাজশাহী কিংস।

বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ ওভারে ২২ রানে ওপেনার জিয়াউর রহমানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।

ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে উদ্বোধনীতে খেলতে নামেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া দেশের এ তারকা অলরাউন্ডার। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা বলটি জিয়ার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ১২ বলে ৬ রানে ফেরেন জিয়া।

তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইলের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। জিয়া-ইমরুল ফিরলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন গেইল। মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় বিপিএল চলতি আসরের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম ফিফটি তুলে নেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।

তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি গেইল। আফিফ হোসেনের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান গেইল। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। তার স্ট্যাম্প ভেঙে যায়। ২৪ বলে ৫টি ছক্কা আর ৬টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেনের গেইল।

২ উইকেটে ৯৭ রান করা চট্টগ্রাম এরপর খেই হারিয়ে ফেলে। এরপর মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে গেইল-মাহমুদউল্লাহ-নুরুল হাসান সোহান এবং চাঁদউইক ওয়ালটনের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় চট্টগ্রাম।

দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে গেইল আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন রিয়াদ।

শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই প্রতিরোধ গড়েন চট্টগ্রামের শ্রীলংকান ক্রিকেটার অ্যাশলে গুনারত্নে। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। ৯ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দলটির দুই পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৯ (গেইল ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, গুনারত্নে ৩১; নওয়াজ২/১৩, ইরফান ২/১৬/)।

প্রসঙ্গত, আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারা আগামী ১৭ জানুয়ারি মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনালে খেলবে।

চট্টগ্রাম জিতলেই বিপিএলের ফাইনালে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ক্রিস গেইল। তার ফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিং একটা সময়ে রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

কিন্তু ২ উইকেটে ৯৭ রান করা দলটি এরপর ২৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন গেইল। বিপিএল সাত আসরের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে ভালো বোলিং করতে হবে চট্টগ্রামকে।

অন্যদিকে রাজশাহী রয়েলকে বিপিএলে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে হলে ১৬৫ রান করতে হবে। এর আগে ২০১৬ সালের ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল রাজশাহী কিংস।

বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ ওভারে ২২ রানে ওপেনার জিয়াউর রহমানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।

ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে উদ্বোধনীতে খেলতে নামেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া দেশের এ তারকা অলরাউন্ডার। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা বলটি জিয়ার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ১২ বলে ৬ রানে ফেরেন জিয়া।

তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইলের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। জিয়া-ইমরুল ফিরলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন গেইল। মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় বিপিএল চলতি আসরের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম ফিফটি তুলে নেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।

তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি গেইল। আফিফ হোসেনের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান গেইল। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। তার স্ট্যাম্প ভেঙে যায়। ২৪ বলে ৫টি ছক্কা আর ৬টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেনের গেইল।

২ উইকেটে ৯৭ রান করা চট্টগ্রাম এরপর খেই হারিয়ে ফেলে। এরপর মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে গেইল-মাহমুদউল্লাহ-নুরুল হাসান সোহান এবং চাঁদউইক ওয়ালটনের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় চট্টগ্রাম।

দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে গেইল আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন রিয়াদ।

শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই প্রতিরোধ গড়েন চট্টগ্রামের শ্রীলংকান ক্রিকেটার অ্যাশলে গুনারত্নে। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। ৯ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দলটির দুই পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৯ (গেইল ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, গুনারত্নে ৩১; নওয়াজ২/১৩, ইরফান ২/১৬/)।

প্রসঙ্গত, আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারা আগামী ১৭ জানুয়ারি মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনালে খেলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here