বাংলা খবর ডেস্ক: এ যেন ‘ভানুমতির খেল।’ অর্ধযুগ পর নারী ফুটবল লিগ পুনরায় মাঠে নামাতে গিয়ে পুরোপুরি তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ক্ষণেক্ষণে পাল্টাচ্ছে দলের সংখ্যা, পরিবর্তন হচ্ছে খেলা শুরুর তারিখ।
আর সর্বশেষ যা হলো তা রীতিমতো হাস্যকর। নারী ফুটবল লিগের দলবদল শেষ হয়েছে গত ২৬ জানুয়ারি। খেলা মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ৩১ জানুয়ারি। ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের অজুহাতে লিগ পিছিয়ে শুরুর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। এর পেছনে অবশ্য বড় একটা কারণ ২০২০ সালের মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষা।
ক্লাবগুলো যখন লিগের খেলা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন হঠাৎ করেই বাফুফে আবার দলবদলের তারিখ ঘোষণা করেছে। ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি- এই পাঁচদিন ক্লাবগুলো পাবে নতুন করে খেলোয়াড় রেজিষ্ট্রেশনের সুযোগ।
দলবদল শেষ হওয়ার পর কেন আবার নতুন করে তারিখ নির্ধারণ? বাফুফের পেশাদর লিগ কমিটির কর্মকর্তা জাবের বিন তাহের আনসারী বলেছেন, ‘বিভিন্ন ক্লাবে বেশ কিছু মেয়ে আছে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। তিনটি ক্লাব চিঠি দিয়ে খেলোয়াড় পরিবর্তনের সুবিধার্থে নতুন করে সুযোগ চেয়েছে। তাই ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি আবার দলবদল হবে। তবে খেলা শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারিই।’
স্বপ্নচূড়া অ্যান্ড আকেলপুর ফুটবল অ্যাকাডেমি, এফসি উত্তরবঙ্গ ও স্পার্টান এমকে গ্লাকটিকো সিলেট চিঠি দিয়ে নতুন করে দলবদলের তারিখ চাওয়ায় বাফুফে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সুযোগে ক্লাবগুলো চাইলে পুপোপুরি নতুনভাবে তাদের দল তৈরি করতে পারবে। কোনো ক্লাব এই সুযোগ না নিলে তাদের আগের তালিকাই বহাল থাকবে।
একটি সূত্র বলছে, এই সুযোগে নারী ফুটবল লিগের ক্লাবগুলোর শক্তির পার্থক্য কিঞ্চিত কমতে পারে। জাতীয় দলের যে খেলোয়াড়রা কোনো ক্লাব পাননি তাদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ হতে পারে।
জাতীয় স্ট্রাইকার তহুরা খাতুন, গোলরক্ষক মাহমুদাসহ বেশ কয়েকজন এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন। পরীক্ষার জন্য কোনো ক্লাবে নাম লেখাননি সিরাত জাহান স্বপ্না, রোজিনা ও জুনিয়র শামসুন্নারসহ জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। ফেব্রুয়ারিতে লিগ শুরু হলে বিভিন্ন ক্লাবে নাম লেখানো পরীক্ষার্থীদের খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, পুরো ফেব্রুয়ারি মাস ধরেই চলবে মাধ্যমিক পরীক্ষা।