বাংলা খবর ডেস্ক: করোনাভাইরাস এখন বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। চীন ছাড়াও বিভিন্ন দেশে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেকে। তবে মহামারী আকার ধারণ করেছে চীনে। তবে এর মধ্যেই আশ্চর্য একটি খবর পাওয়া গেছে। আর তা হলো উইঘুর মুসলিরা করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রয়েছে। অথচ তাদের যে পরিবেশ রাখা হয়েছে, তাদেরই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা ছিল বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও করোনাবাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। তারই মধ্যে চিনের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল উইঘুর মুসলিমদের বন্দি শিবির। চীনের জিনঝিয়াং প্রদেশে মগজ ধোলাইয়ের নামে বিভিন্ন বন্দি শিবিরে উইঘুর মুসলিমদের রাখা হয়েছে মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে। সেখানে উইঘুর মেয়েদের জোর করে বন্ধ্যা করে দেয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের ধর্মীয় আচারবিধি পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে যখন প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমের দিন কাটছে তখন করোনাভাইরাস আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ইতিমধ্যে এটাকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করেছে। শুধু চীন নয় আক্রান্ত ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, হংকংসহ বিশ্বের প্রায় পঁচিশটি দেশ।
উইঘুর বন্দিশিবিরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রসঙ্গে সম্প্রতি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনের অন্যান্য এলাকার তুলনায় উইঘুর মুসলিমরা করোনার গ্রাস থেকে অনেকটাই রেহাই পাচ্ছেন। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিমরা যেহেতু হালাল খাদ্য খেয়ে থাকেন, সেটা তাদেরকে করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখেছে।
যদিও করোনাভাইরাস যেহেতু সংক্রামক, তাই তাতে উইঘুররা আক্রমণের শিকার হবেন না এ কথা হলফ করে বলা যাবে না। আশঙ্কা থেকেই যায়। কিন্তু তারা যে এখনো করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত সেকথা স্পষ্ট জানিয়েছে সিএনএন।
উল্লেখ্য, চীনাদের প্রিয় খাদ্য আরশোলা, টিকটিকি, ইঁদুর, ব্যাঙ ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ। আর সেগুলোই মারাত্মক ভাইরাস বহন করে থাকে। মুসলিমরা এই সব খাদ্য ধর্মীয় নিষেধের কারণে খান না। তাদের হালাল খাদ্যই পছন্দ।