বাংলা খবর ডেস্ক: উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ভাগ্য ঝুলে আছে যুক্তরাজ্যের আদালতে।
১০ বছর আগের একটি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের জন্য অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হবে কি না, সে ব্যাপারে কাল (সোমবার) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। খবর রয়টার্সের। ওয়াশিংটন অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে বিচার করতে চায়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই যুক্তরাজ্যের উলউইচ ক্রাউন কোর্টে শুনানি হবে।
গত বছরের ১১ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসে সাত বছর রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা অ্যাসাঞ্জকে আটক করে লন্ডন পুলিশ। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ কয়েকটি অভিযোগ ছিল।
লন্ডনের সুরক্ষিত বেলমার্শ কারগারে তাকে আটক রাখা হয়। পরে তাকে ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করে বিচারের মুখোমুখি করা হলে তিনি ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ডের সাজা পান।
ইতিমধ্যেই আইনজীবী, চিকিৎসক ও তার কয়েকজন বন্ধু কারাবন্দি অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করে তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য ২৩ ফেব্র“য়ারি শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জানিয়েছেন, তার ফাঁস করা নথির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত চেহারা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
অ্যাসাঞ্জকে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগের মুখোমুখি করে বিচার করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গুপ্তচরবৃত্তির যে অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে চাওয়া হচ্ছে। সেই অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার।