আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে পারব: প্রধানমন্ত্রী

0
713

বাংলা খবর ডেস্ক: দেশের প্রথম অ্যাক্সেস কন্ট্রোল্ড ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রা শুরু হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা, আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে পারব বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার খুব ইচ্ছা ছিল নিজে গিয়ে উদ্বোধন করার, কিন্তু পারলাম না। তবে খুব শ্রীঘই যাব। এক মাসের মধ্যেই যেতে পারি।

বৃহস্পিতবার (১২ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা আট লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করেন। এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম প্রমুখ।

তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সব সময় অবহেলিত ছিল। দীর্ঘ ভোগান্তি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে হত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সড়কগুলো উদ্বোধনের ফলে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। এসব ব্রিজগুলো যত্ন সহকারে ব্যবহার করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

অ্যাক্সেস কন্ট্রোল্ড হাইওয়ে হলো উচ্চ গতির যানবাহনের জন্য ডিজাইন করা হাইওয়ে। যাতে সমস্ত যানবাহনের প্রবেশ ও বহির্গমন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে।

দেশের ইতিহাসে প্রথম ৮ লেন সড়ক এটি। সড়কে ৪ লেনের মূল এক্সপ্রেসওয়ে এবং ধীরগতির যানবাহনের জন্য উভয়মুখী চার লেনের সার্ভিস রোড থাকবে। এর ফলে ঢাকা থেকে মাওয়া যাওয়া যাবে মাত্র ২৭ মিনিটেই।

২০১৬ সালের মে মাসে ৬ হাজার ৮৫২ কোটি ৯২ লাখ টাকার এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০২০ সালের জুন মাস। নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হলো কাজ। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এ সড়কের সার্বিক কাজ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার্স কন্সট্রাকশন ব্রিগেড।

এ এক্সেপ্রেসওয়ের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার বহুমুখী পদ্মা সেতু অবস্থিত। এক্সেপ্রেসওয়ে হয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ৪২ মিনিটে পৌঁছানো যাবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। এ প্রকল্পের আওতায় মহাসড়কে সেতু থাকছে ২৫টি (পিসি গার্ডার ২০টি ও আরসিসি ১১টি), বড় সেতু ধলেশ্বরী-১, ধলেশ্বরী-২ এবং আড়িয়াল খাঁ এবং ৪৫টি কালভার্ট, ৩টি ফ্লাইওভার, গ্রেট সেপারেটর হিসেবে ১৫টি আন্ডারপাস ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া এবং ভাঙ্গায় ২টি ইন্টারচেঞ্চ এবং ৪টি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here