বাংলা খবর ডেস্ক: পটুয়াখালী জেলায় সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে এসেছে ১১০০ জন। তাদের মধ্যে ২৩ জন প্রবাসীকে পটুয়াখালীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাকিদের অবস্থান নির্ণয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের দরবার হলে এক জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী ও সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জরুরি সভায় জানানো হয়, মঙ্গলবার পর্যন্ত ২১ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল। বুধবার আরও দুই প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে যোগ হয়েছে। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৩ ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইন হতে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া
জেলায় কতজন প্রবাসী সম্প্রতি এসেছেন তার সঠিক তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে একজন করে স্বাস্থ্য সহকারী রয়েছেন। ওই এলাকায় কোনো প্রবাসী আসছে কিনা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। তারা কোয়ারেন্টাইনে আছে কি না সেটা তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শহরে নবনির্মিত চারতলা বিশিষ্ট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ভবনে ইতিমধ্যে ৪০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। ভবনটি ৫০ শয্যায় উন্নীতের কাজ চলছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই, প্রচারণার মাধ্যমে সচেতন করার কাজ চলছে। বিশেষ করে এই রোগে বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হবেন। আমাদের সচেতন হতে হবে যাতে এই ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করতে না পারে।
জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেহেতু কোচিং বন্ধ থাকবে। যে কোনো জমায়েত যেমন বিবাহ, মেলাসহ সব ধরনের জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।