অনলাইন ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার ৩

0
76

বাংলা খবর ডেস্ক: অভিনব কায়দায় বিভিন্ন ডায়লার অ্যাপস ব্যবহার ও কাস্টমার কেয়ার এজেন্ট সেজে কৌশলে গ্রাহকের নতুন কার্ডের সিভিভি কোড এবং মোবাইলের ওটিপি সংগ্রহের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করছে একটি অননলাইন প্রতারক চক্র। চক্রটি গত কয়েক মাসে কয়েকটি ব্যাংকের গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা চুরি করেছে।

কয়েকটি ব্যাংক ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ডিসি আ ফ ম আল কিবরিয়ার কাছে অভিযোগ করে। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংককে ঘটনাটি অবহিত করেন।

পরে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ ঢাকা, ফরিদপুরের ভাঙা এবং কক্সবাজারে প্রায় লক্ষাধিক মোবাইল নাম্বার ও ডায়লার অ্যাপসের আইপি বিশ্লেষণসহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চক্রের তিন প্রতারককে শনাক্ত করে।

গত ২০ মার্চ সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ বিভাগের সোস্যাল মিডিয়া টিমের এডিসি মো. নাজমুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপের নেতৃত্বে সাইবার ব্যাংক প্রতারক চক্রের প্রধান মামুন তালুকদারকে কক্সবাজারের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে। চলমান অভিযানে পরদিন দুই সহযোগীর অন্যতম একজন রাজু ফারাজীকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে ও গতকাল মিঠু মৃধাকে ফরিদপুরের ভাঙা গ্রেফতার করে।

এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ব্যাংকিং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সিও গাড়ি, সাতটি বিশেষ অ্যাপসযুক্ত মোবাইলফোন, বিপুল পরিমাণ ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সিমকার্ড, একাধিক ব্যাংক, বিকাশ, নগদ ও স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ডিসি আ ফ ম আল কিবরিয়া বলেন, বেশ কয়েক মাস যাবত এই প্রতারক চক্র অভিনব ও সুনিপুণ কায়দায় বিভিন্ন ডায়লার অ্যাপস দিয়ে কয়েকটি ব্যাংকের হেড অফিসের কার্ড ডিভিশনের মোবাইল নম্বর স্পুফ করে শাখা-ম্যানেজারদের কল দিয়ে আগের মাসের নতুন কার্ড ব্যবহারকারীদের নাম, কার্ড নম্বর এবং মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আসছিল। তারপর প্রতারকরা ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার এজেন্ট সেজে গ্রাহকদের কল করে বলতো যে তারা ব্যাংক থেকে তার নতুন কার্ডটি একটিভ বা অন্য কিছু ফিক্স করার জন্য কল করেছেন। এরপর চক্রটি কৌশলে স্পুফড মোবাইল কলের মাধ্যমেই গ্রাহকদের কার্ডের মেয়াদ, ৩/৪ ডিজিটের সিভিভি কোড এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে মোবাইলের ওটিপি সংগ্রহ করে গ্রাহকদের কার্ড থেকে টাকা/ডলার প্রতারকদের লন্ডন ভিত্তিক ই কমার্স অ্যাপস স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট, বিকাশ বা নগদ-এ ট্রান্সফার করে ও পরবর্তীতে এটিএম বুথ বা বিকাশ বা নগদ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতো। এভাবে দেশের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংকের শতাধিক গ্রাহকদের অর্ধ কোটি টাকা চুরি করে। এই ঘটনায় ডিএমপির ধানমন্ডি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনজন অভিযুক্তদের চারদিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here