নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নৌপথে ৫০ হাজার যাত্রী পারাপার!

0
46

বাংলা খবর ডেস্ক: করোনা সংক্রমণরোধে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পারাপার করা হয়েছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ ও ফেরিতে করে পদ্মা পার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিসি ও বিআইডাব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৮টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

এদিকে করোনা সংক্রমণরোধে স্পিডবোট, লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে ঘাটের অনেক কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, শিমুলিয়া ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ, মানুষ আর মানুষ। সব যাত্রী এখন ফেরিতে পার হচ্ছেন। কোনো পুলিশ সদস্য লঞ্চ ছাড়তে বাধ্য করেনি। এখানে তো কঠিন সিচুয়েশন, যে যেভাবে পারছে সেভাবেই ঘাট পার হয়েছে। বিআইডাব্লিটিএর উচিত ছিল আগের দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া। তাহলে ঢাকা থেকে এত মানুষ ঘাটে আসতো না। এখন ঘাটে যে মানুষ এসেছে তা কিভাবে পার হবে। চোখে না দেখলে এই অবস্থা বুঝবার ক্ষমতা নেই।

শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিটিএর পোর্ট অফিসার শাহ-আলম জানান, পুলিশ সদস্যরা আমাদের বাধ্য করেছে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৮টি লঞ্চ ছাড়ার জন্য। দেশের এরকম পরিস্থিতি কেন তারা এই কাজটি করেছে তা জানা নেই। তবে তারা সঠিক কাজ করেনি। পুলিশ সদস্যদের নিষেধ করা হয়েছিল কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথাই শুনেননি। এখনো ঘাটে অনেক যাত্রীর চাপ।

শিমুলিয়া বিআইডাব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহ্দাত হোসেন বলেন, যাত্রীদের চাপ বেশি দেখে পুলিশ সদস্যরা লঞ্চের স্টাফদের কিছুটা ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে যেতে বলেছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য আমাদের কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেই।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা সিরাজুল কবীর জানান, লোকে লোকারণ্য শিমুলিয়া ঘাট। জোয়ারের মতো মানুষ আসছে ঘাটে। তিন নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে একটি ফেরি চলছে, যা মানুষ পার করছে। কিছু নৌযান চোরাই পথে চলছে তা বন্ধের চেষ্টা করছি। লৌহজং থানা পুলিশ বেশি যাত্রীর চাপ দেখে লঞ্চ ছাড়তে বলেছে। তবে লঞ্চঘাটের সামনে একটি চরে ভিড়ানো লঞ্চগুলো দিয়ে তারা যাত্রী পার করতে বলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here