প্রেমের টানে গোপালগঞ্জে জার্মানি তরুণী, অতপর: বিয়ে

0
200

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
প্রেমের টানে সুদূর জার্মানি থেকে এক তরুণী গোপালগঞ্জে এসে বাংলাদেশি প্রেমিককে বিয়ে করেছেন। গতকাল রবিবার সকালে গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

জার্মানির ওই তরুণীর নাম জেনিফার স্ট্রায়াস। সে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামে। সেখানে তার প্রেমিক চয়ন ইসলাম ও তার স্বজনরা তাকে স্বাগত জানান এবং রাতেই তারা জেনিফারকে নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে চলে আসেন। পরে শহরের মডেল স্কুল রোডস্থ ফুফাতো ভাই আব্দুর রহমানের বাড়িতে রাত্রি যাপনের পর রবিবার সকালে পরিবারের লোকজন নিয়ে আদালতে গিয়ে তারা বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন।

জেনিফার একজন মাধ্যমিক লেভেলের শিক্ষার্থী। জার্মানীর বাইলেফেল্ড স্টেটে বাবা-মার সঙ্গেই বসবাস করেন। তার বাবার নাম জোসেফ স্ট্রায়াস ও মাতার নাম এসাবেলা স্ট্রয়াস।

চয়নের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামে। তার ইতালি প্রবাসী বাবা রবিউল ইসলামের সুবাদে সেও ইতালিতে যায়। কিছুদিন পর সেখান থেকে তিনি চলে যান জার্মানিতে। পাঁচ বছর আগে সেখানে একটি ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হলে সেখানেই তার পরিচয় হয় জেনিফারের সঙ্গে। আর সে পরিচয় থেকেই তাদের প্রেম ও পরিণয়।

২০২২ সালের ১০ মার্চ চয়ন বাংলাদেশে চলে আসে। কিন্তু তাতে জেনিফার ও চয়নের মধ্যে প্রেমের কোনো টানাপোড়ন হয়নি। ভালোবাসার টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেনিফার ছুঁটে আসে প্রেমিক চয়নের কাছে। গোপালগঞ্জে পৌঁছানোর পরে চয়নের স্বজনরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় জেনিফারকে।

চয়নের মা ঝর্ণা বেগম তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিদেশি বৌমাকে পেয়ে আমরা সবাই খুশি। অল্প সময়েই আমাদের সবাইকে খুব আপন করে নিয়েছে। ভাবতেও পারিনি সে আমাদের সঙ্গে এতো সহজে মিশে যেতে পারবে। গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আনন্দ-উৎসব করে আমরা নববধুকে সবাই বরণ করে নিব।’

এ দিকে, বাবা জোসেফ ট্রায়াস মেয়ে জেনিফারে সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এ বিয়েতে জেনিফারের বাবা-মা সহ পরিবারের সবাই খুব আনন্দিত।

জেনিফার তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমি ভালোবেসে খুশি হয়েছি। এখানকার পরিবেশ, আতিথিয়েতা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে পেরে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here