বাংলা খবর ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। মহামারি আকার ধারণ করেছে এই ভাইরাস। কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাসে ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৯৭ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যু সাড়ি। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৯২ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৬১৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৭৯ জন।
করোনাভাইরাস ঠাণ্ডা-সর্দি-কাশি থেকে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত সংক্রমণ ঘটায়। তবে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যত্ন নেয়া হলে এই সংক্রমণ এড়ানো যায়। সর্বোচ্চ সতর্কতাই পারে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত হাত ধোয়া বা টিস্যুতে হাঁচি দেয়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। এর বাইরেও আপনি কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।
গবেষণায় দেখা গেছে ভাইরাসটি বেশ কয়েক ঘণ্টা শক্ত কোনো কিছুর উপরে বেঁচে থাকতে পারে। অর্থাৎ প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসপত্র, ঘরের মেঝে এবং আসবাবপত্রের উপরিতলে এটি অবস্থান করতে পারে। ঘরবাড়ি যতটা সম্ভব কম ঝুঁকিপূর্ণ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) ঘরের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের তালিকা তৈরি করেছে। সেসব স্থান জীবাণুমুক্ত রাখার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
স্থানগুলো হলো-
কিচেন কাউন্টার টপস
টেবিল
দরজার হাতল
বাথরুমের ফিক্সচার
টয়লেট
ফোন
কি-বোর্ড
ট্যাবলেট পিসি
টেবিলের আশপাশে
যেকোনও ভবন যেখানে রক্ত, মল বা ঘাম লেগে থাকতে পারে।
সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে
সিডিসির পক্ষ থেকে, ঘরের জিনিসপত্র নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্প্রে ব্যবহারের সময় গ্লাভস পরার পাশাপাশি ঘরে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়ও নিজের জিনিসপত্র পরিবারের অন্যদের সঙ্গে শেয়ার না করতে বলেছে সিডিসি। তারা জানিয়েছেন, বাড়ির অন্যান্য লোক বা পোষা প্রাণীর সাথে বাসন, চশমা, কাপ, খাবারের পাত্র, তোয়ালে বা বিছানা ভাগ করা উচিত নয়।
এগুলো ব্যবহার করার পর সাবান এবং পানি দিয়ে (২০ সেকেন্ড) ভালোভাবে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে সিডিসি।ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম