জহিরুল আলম:
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ইতালি স্পেনের তুলনায় জার্মানীতে প্রানহানি এখনও অনেক কম। ঢাকায় জার্মান এ্যাম্বাস্যাডরের সঙ্গে কথা হলো স্কাইপে। পিটার ফারেনহোলজ বললেন ফ্যাটালিটি কম হবার একটি প্রধান কারন হলো ব্যাপক সংখ্যক পরীক্ষা এবং আউটব্রেকটি দ্রুততম সময়ে ডিটেক্ট করে ফেলা। সত্যি তাই। এরচেয়ে ভাল আর কোন কৌশল আর হতে পারেনা। ওদের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটও ভাল। অন্যদিকে ইতালি পাত্তা দেয়নি।
অফিশিয়ালি ২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম করোনা শনাক্ত হলো ওদের। এক মাসের ব্যবধানে ওদের মৃত্যু এখন ১২ হাজার পেরিয়েছে। স্পেন পাত্তা দেয়নি। ফ্রান্স পাত্তা দেয়নি। ওদের ফ্যাটালিটিও মারাত্মক। আনডিটেক্টেড রাখাটাই বিরাট ঝুঁকি। ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করাও ছিল এক কঠিন কাজ। এখন আমাদের জন্য পিটার ফারেনহোলজের পরামর্শ কি? উনি বললেন, আপনাদের সংক্রমন এখনও সীমিত। ইউরোপ থেকে আপনারা শিক্ষা নিন। সে অনুযায়ী করনীয় ঠিক করুন। ইতোমধ্যে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করুন। এখানে জনঘনত্ব বেশি। সংক্রমনের বিপদ আছে। ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত উত্তম। এই সময়টা কঠিন। ডোন্ট গিভ আপ।
ফ্র্যাঙ্কলি স্পিকিং-এনটিভি।