বাংলা খবর ডেস্ক: করোনা দুর্যোগে গাজীপুরের বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঝুলছে তালা। রয়েছে রোগী না দেখার নোটিশও। সুরক্ষা উপকরণ না থাকার অজুহাত বেশিরভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সিভিল সার্জন বলছেন, হাসপাতাল খোলা রাখতে ক্লিনিক মালিক সমিতি নেতাদের তলব করা হয়েছে। আর এই দুঃসময়ে পাশে না থাকলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি জেলা প্রশাসকের।
কয়েকদিন আগেও যেসব হাসপাতাল-ক্লিনিকে নানা কৌশলে রোগীদের টানা হতো, করোনা পরিস্থিতিতে সেসব হাসপাতালগুলোতে এখন ডাক্তার, নার্স খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। শহরের অলিতেগলিতে গড়ে ওঠা ক্লিনিকগুলোর গেইটে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তালা। মাঝে মধ্যে যেসব হাসপাতাল খোলা রয়েছে, সেখানেও নেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। চেম্বারের সামনে টানিয়ে রাখা হয়েছে রোগী না দেখার নোটিশও। এতে সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা পড়ছেন চরম বিপাকে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, নিজেদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুরক্ষা না থাকায় ডাক্তার,নার্স ও স্টাফরা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
গাজীপুর স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ এই কর্মকর্তা জানালেন-হাসপাতালগুলো খোলা রাখতে ক্লিনিক-মালিক সমিতি নেতাদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসবেন। আর জেলা প্রশাসক বলছেন জাতির এই দুঃসময়ে পাশে না থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুজাম্মান বলেন, এখানে যে ক্লিনিক-মালিক আছে তাদের আমরা ডেকেছি। তাদেরকে আমরা বলেছি এসব হাসপাতালে ডাক্তার থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, যেকোন ভাবেই হোক তাদের হাসপাতাল চালাতে হবে। মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য তাদের থাকতে হবে।
জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৬টি সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও শতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল রয়েছে। এসব চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন এক হাজারেও বেশি চিকিৎসক ও নার্স।