ময়মনসিংহে খাদ্য বিষক্রিয়ায় চিকিৎসকের মৃত্যু

0
468

বাংলা খবর ডেস্ক: করোনাভাইরাসে সিলেটের চিকিৎসক মঈনুদ্দিনের মৃত্যুতে শোক না কাটতেই প্রাণ গেল আরেক চিকিৎসকের। ময়মনসিংহে খাদ্য বিষক্রিয়ায় ডা. জ্যোতি জয়ন্ত চক্রবর্তী (৪৪) নামে এই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। তিনি ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের চিকিৎসাকেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।

বুধবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়।

ডা. জ্যোতি জয়ন্ত চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর এ নিয়ে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুসরাত সুলতানা লিমা।

তিনি লিখেছেন, আরেক পলাতক ডাক্তারের মৃত্যু। দিনটা শুরু হলো এক ডাক্তারের মৃত্যু দিয়ে আর শেষ হলো আরেকজনের মৃত্যুতে। আনন্দমোহন কলেজের চিকিৎসাকেন্দ্রে কর্মরত তরুণ চিকিৎসক ডা. জ্যোতি জয়ন্ত চক্রবর্তী কিছুক্ষণ আগে পরলোক গমন করেছেন। উনি কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন।

স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে করোনায় আক্রান্ত দ্বিতীয় বাংলাদেশি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়াতে থাকে।

কিন্তু রাতভর ছড়ানো সেই খবর বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছেন আনন্দমোহন কলেজের চিকিৎসা কর্মকর্তারা। করোনায় নয়, খাবারে বিষক্রিয়ায় জ্যোতি জয়ন্ত চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন তার সহকর্মী ও চিকিৎসকরা।

এ বিষয় আনন্দমোহন কলেজের উপাধ্যক্ষ নুরুল আফসারী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার চিকিৎসক জ্যোতি জয়ন্তর ফুড পয়জনিং হলে পরিবারের লোকজন তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ফুড পয়জনিংয়ের ফলে উচ্চ রক্তচাপের কারণে চিকিৎসাধীন বুধবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার বলেন, চিকিৎসক জ্যোতি জয়ন্তর মৃত্যু উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণেই। তার ডেথ সার্টিফিকেটেও তাই উল্লেখ করা হয়েছে। ডা. জ্যোতির শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ ছিলো না। এর পরও রাতে তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আজ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

একই বক্তব্য দিয়েছেন ডা. জ্যোতির পরিবারের সদস্যরা।

ডা. জ্যোতির বাবা আনন্দমোহন কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী এবং ভাই আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিককে জানিয়েছেন, দু’দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে খাবার খেয়েছিল জ্যোতি। তারপর তার প্রচন্ড গ্যাস হয়। পরে মঙ্গলবার রাতে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করি। খাবারের বিষক্রিয়ার গতকাল রাতে হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যায় সে। সে করোনা রোগী ছিল না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here