নিউজ ডেস্ক: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন।
এরই প্রেক্ষিতে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ হাই কমিশন যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ একযোগে কাজ করছেন। মিডিয়া ও বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা, যুক্তরাজ্যে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিক ও বাংলাদেশে আটকে পড়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের কন্স্যুলার সেবা এবং ভ্রমণ বিষয়ক পরামর্শ প্রদান, মৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃতদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দপ্তরের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রক্ষা এবং যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন, বাংলাদেশি-ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে একটি কভিড-১৯ স্বেচ্ছাসেবক চিকিৎসা প্যানেল গঠন করেছে ও একটি সার্বক্ষণিক নিবেদিত কভিড-১৯ হেল্প লাইন চালু করেছে। নিবেদিত এই হেল্প লাইনটিতে যারা এদেশের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসের আওতাভুক্ত নন, যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী অথবা বয়োবৃদ্ধ ও বাংলা ভাষায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তারা কভিড-১৯ সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট হেল্প লাইনে যোগাযোগ করার পর হাই কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই হাই কমিশনের কভিড-১৯ স্বেচ্চাসেবক চিকিৎসা প্যানেল হতে যেকোনো চিকিৎসকের সাথে সংশ্লিষ্ট রোগীর সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ হাই কমিশনের কভিড-১৯ সংক্রান্ত ২৪/৭ হেল্প লাইন নম্বরটি হলো +৪৪-৭৪৫৯৬১৬১৯৭ যা ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে।
ভয়াবহ করোনা মহামারীর দুঃসময়ে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুস্থতা, সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে বলেন, বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন করোনা মাহামারীর এ সংকটে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যেকোনো সহায়তায় তাদের পাশে দাঁড়াতে সদা সচেষ্ট থাকবে।