বাংলাদেশে ভাই মারা যাওয়ার শোক সইতে পারেন নি ইংল্যান্ডে বসবাসকারী বোন, দু’ সন্তানের মাতা সুলতানা আখতার। ওই খবর শোনার পর হার্ট এটাকে আক্রান্ত হন তিনি। এর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান সুলতানা। ১৯ শে মার্চ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন তার কাছে খবর আসে, বাংলাদেশে সুলতানার ৩৪ বছর বয়সী ভাই মারা গেছেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ডেইলি মেইল।
এতে বলা হয়, দু’সন্তানের মা হলেও সুলতানা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। দেশে ভাইয়ের মারা যাওয়ার খবর শুনে তিনি ইংল্যান্ডের গ্লুচেস্টারে অচেতন হয়ে পড়েন। তবু তার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। গ্লুচেস্টারে করোনার কোর্টে এ নিয়ে শুনানি হয়েছে। তাতে জানার চেষ্টা করা হয়েছে, সুলতানা আসলেই হার্ট এটাকে মারা গেছেন কিনা। ওদিকে ঘটনার পর সুলতানাকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাদেরকে পরাজিত করে সুলতানা পাড়ি দেন অন্য জগতে। এ সময় তার গর্ভে ছিল একটি মেয়ে সন্তান। তিনি অচেতন হয়ে পড়ার পর গ্লুচেস্টারশায়ার রয়েল হাসপাতালের জরুরি সিজারিয়ান সেকশনে নিয়ে ভূমিষ্ঠ করানো হয় ওই শিশুকে। ভূমিষ্ঠ করালে কি হবে, তাকে বাঁচাতে পারেন নি চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, সুলতানা আখতারের স্বামী ফিরুজ আলী। তাদের রয়েছে দুটি ছেলে নাবিল (১০) ও নাহিদ (১৪)। মায়ের অকস্মাৎ এভাবে মৃত্যুতে তারা ভেঙে পড়েছে। সুলতানা দম্পতি ছিলেন সন্তানদের প্রতি ভীষণ যত্নশীল। দু’ ছেরের জন্মের পরে তারা একটি কন্যা সন্তান প্রত্যাশা করছিলেন গত ছয় বছর ধরে। অবশেষে সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছিল। সুলতানার ১০ বছর বয়সী ছেলে নাবিল পড়ে ট্রেডওয়ার্থ জুনিয়র স্কুলে। সে বলেছে, আমি শিশুদের ভালবাসি। আমি যখনই মার কাছে একটি বোনের আবদার করতাম, তিনি সব সময়ই আমাকে বলতেন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো। তাই আমি প্রতিদিন একটি বোন চেয়ে প্রার্থনা করেছি। শেষ পর্যন্ত আমার প্রার্থনা কবুল হয়েছে। কিন্তু যে বোনকে পেলাম তাকে আমাদের কাছে রাখতে পারলাম না। তাকে রেখে আসতে হলো মায়ের সঙ্গে। ওর জন্য একটি নামও ঠিক করে রাখা হয়েছিল। নামটি হলো তায়্যিবা আখতার। কেনা হয়েছিল ভেলভেটের একটি লাল পোশাক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here