নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র নির্বাচন স্থগিত পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে সোসাইটির নির্বাচন কমিশন (ইসি)-এর সদস্যরা যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন। নির্বাচন কমিশন ২০১৮ এর পক্ষে কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম মিয়া, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, কাউছারুজ্জামান কয়েছ, মোহাম্মদ রুহুল সরকার, খোকন মোশারফ যৌথভাবে এই বিবৃতি প্রদান করেন।
ইসি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে: গত ২১ অক্টোবরের নির্বাচন কেন স্থগিত হয়েছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলেই ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন। মহামান্য আদালতের নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সকল কার্যক্রম থেকে বিরত এবং আদালতের পরবর্তি নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, কেউ কেউ এই উদ্ভুত পরিস্থিতিকে পুঁজি করে নির্বাচন কমিশন এবং কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল আহামেদ জনির বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অবসম্মানজনক, আক্রমনাত্মক ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে তারা মূলত: তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে যা প্রকৃত অর্থে আদালত অবমাননার সামিল বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেই সাথে আমরা মনে করি তাদের এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কার্যক্রম আদালতে বিচারাধীন মামলাকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর আরেকটি অপচেষ্টা। আমরা আরও মনে করি যে, মত প্রকাশ ও দ্বি-মত পোষনের অধিকার সবার থাকলেও অন্যকে ব্যক্তিগত আক্রমন ও অসম্মানিত করার অধিকার কারো নেই। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে এই ধরনের হীন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বলা হয়: আমরা বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন সংক্রান্ত প্রতিটি সিদ্ধান্ত সোসাইটির গঠনতন্ত্র ও নির্বাচনী বাই লজ শতভাগ অনুসরণ করে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছি, কারো একক সিদ্ধান্তে কোন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি এবং ভবিষ্যতেও এমনটি হওয়ার কোন সুযোগ এই নির্বাচন কমিশনে নেই। আমরা বাংলাদেশ সোসাইটির সম্মানিত সদস্য, ভোটার, শুভানুধ্যায়ীসহ কমিউনিটির সকলকে নির্বাচন, মামলা ও মাননীয় আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোন প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিনিত আহ্বান জানাচ্ছি। ইউএনএ