নিউজ ডেস্ক: তথ্য পাচারের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) নিষেধাজ্ঞায় পড়ছেন এমন সংবাদ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার ব্যাটসম্যান জাভেদ ওমর বেলিম। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অবশ্যই এটা ভিত্তিহীন সংবাদ, আমার জানা নেই, বিসিবিরও জানা নেই, কীভাবে হয়?’
সোমবার রাতে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছিল, আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী জাভেদ ওমরকে আর কোনো দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। অভিযোগ উঠেছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে দলের ভেতরের তথ্য বাইরের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করেছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আইসিসি আরও গভীর তদন্ত চালাবে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
তবে জাভেদ ওমর এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাকে বিসিবির তরফ থেকে কিছুই বলা হয়নি। আইসিসি তো বলেইনি। এটাতো আগে তাদের জানার কথা, বিসিবি আমার অভিভাবক। বিসিবির সিইও জানে না, অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জানে না, মিডিয়া ম্যানেজার জানে না, এই সংবাদ কীভাবে সত্য হয়?’
বাংলাদেশের একটি দৈনিক ও ক্রিকবাজে এই সংবাদ দেখেই তিনি বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে ফোন দিয়েছিলেন। তখন তার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। নিজাম উদ্দিন তাকে বলেছেন, এই সংবাদ ভিত্তিহীন, তাদের কাছে এখন পর্যন্ত আইসিসি এই বিষয়ে কোনো কিছুই বলেনি।
গত বছর পর পর দুটি সিরিজে বাংলাদেশ নারী দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জাভেদ ওমর বেলিম। এরই সুবাদে বিশ্বকাপেও এই দায়িত্বে তাকে অস্ট্রেলিয়া পাঠায় বিসিবি। ক্রিকবাজের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল, নারীদের বিশ্বকাপ চলাকালে বেলিমের তথ্য ফাঁসের ব্যাপারে প্রাথমিক তথ্য পায় আইসিসি। পরে আরও তদন্তের পর আইসিসি বেলিমের কার্যক্রম সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বিসিবিকে অনুরোধ করে জাভেদ ওমরকে আপাতত আইসিসি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী যে কোনো দল থেকে দূরে রাখার জন্য।
নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে শেষ হয়েছিল জাভেদ ওমরের চুক্তি। বাংলাদেশের হয়ে ৪০ টেস্ট এবং ৫৯ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এই ওপেনারের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৫ সালে।