নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রথম দফায় ১০০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরই মধ্যে ধোয়া-মোছার কাজ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এ হাসপাতালে করোনো রোগী ভর্তি শুরুর কথা রয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন রকম সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে গত পাঁচ দিনেও এ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি শুরু সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, প্রস্তুতি শেষ করতে পাঁচ-ছয় দিন সময় লেগেছে। চিকিৎসক, নার্সসহ ৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে পৃথক একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেকেই হাসপাতালে অবস্থান করে টানা সাত দিন করে সেবা দেবেন।
গাজীপুরে করোনা রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৯ এ দাঁড়িয়েছে। তাদের বেশির ভাগই বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, জেলায় যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা নিজ নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার মতো অবস্থা হয়নি। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ২৭ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, প্রথম দিকে বেশির ভাগ মানুষকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব হয়েছিল। পরে শিল্প কারখানা মালিকদের উদাসীনতার কারণে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকেও বিপুলসংখ্যক মানুষ গাজীপুরে চলে আসে। এ কারণে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ডা. খলিলুর রহমান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও হাসপাতালে মঙ্গলবার চারজন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে।