ফোর্বসে শেখ হাসিনার প্রশংসা প্রত্যাশিত

0
61

আমেরিকার অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ফোর্বসে’ ২২ এপ্রিল (২০২০) প্রকাশিত কানাডিয়ান লেখক অভিভাহ ভিটেনবারগ-কক্স রচিত ‘8 (More) Women Leaders Facing The Coronavirus Crisis’ শীর্ষক প্রবন্ধে করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হয়েছে। নারী নেতৃত্বাধীন আটটি দেশের রাষ্ট্রনায়কদের ওপর আলোকপাত করার সময় বলা হয়, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন ১৬ কোটি ১০ লাখের মতো মানুষের দেশ বাংলাদেশ সমস্যা আর সংকটের সঙ্গে অপরিচিত নয়। তিনি এই সংকট মোকাবিলায় দ্রুত সাড়া দিয়েছেন, যাকে ‘প্রশংসনীয়’ বলেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। বাংলাদেশ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গত ফেব্রুয়ারি থেকে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেগুলো এক অর্থে যুক্তরাজ্যও করতে পারেনি।

প্রতিবেদনে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিম ইয়াকুব ও হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম, জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জওরাবিচভিলি, নামিবিয়ার সারা কুগংগেলোয়া, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী, বলিভিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট জেনাইন অ্যানেজ, ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সাহলে ওর্ক জেওডের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ত্বরিত ও ফলপ্রসূ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের আট নারী সরকারপ্রধান তাদের দক্ষতা দিয়ে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন। অন্যদিকে কলামটিতে বলা হয়, বিশ্বের ১৮টি দেশের সরকারপ্রধান নারী। প্রায় সাড়ে ৫০ কোটি মানুষের বসবাস এসব দেশে। তবে ওই আটটি দেশের আগেই জার্মানি, তাইওয়ান, আইসল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের নারী সরকারপ্রধানরা করোনার লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।

২.
এ কথা ঠিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের প্রশংসা পাওয়ার জন্য কাজ করেন না। কিংবা কোনো পুরস্কার পাওয়ার আশায় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন না। তিনি যখন করোনা আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করে চিঠি লেখেন কিংবা চীন ও ভারতের সরকারপ্রধানকে মহামারি মোকাবিলায় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তখন তার সচেতন ও মানবিক দায়িত্বসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়কের কাজটিই আমরা করতে দেখি। আর এদেশের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তার দিনপঞ্জি ব্যস্ততার অনন্য দলিল।

তিনি ২৩ এপ্রিল (২০২০) পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিশ্বের সকল নেতা, সংস্থা ও ফোরামের ঐক্যের মাধ্যমে একসঙ্গে করোনাযুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার বিষয়ক ওই তারিখের ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিশ্ব সম্ভবত গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি। সুতরাং সবাই একসঙ্গে সংকটের মোকাবিলা করা দরকার। সমাজের প্রতিটি পর্যায় থেকে সমন্বিত দায়িত্বশীলতা এবং অংশীদারিত্বমূলক মনোভাব প্রয়োজন।

তার উত্থাপিত ৫ দফা প্রস্তাব হলো- ক) বিশ্বকে মানবকল্যাণ, বৈষম্যদূরীকরণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং মহামারির পূর্বের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নতুন ভাবনা জরুরি। খ) প্রয়োজন জি-৭, জি-২০ এবং ওইসিডির মতো সংগঠনগুলো থেকে দৃঢ় ও পরিকল্পিত বৈশ্বিক নেতৃত্ব। জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকেও এগিয়ে আসা উচিত। গ) কোভিড পরবর্তী সময়ে নতুন নীতি, স্ট্যান্ডার্ড ও পদ্ধতির প্রবর্তন হলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে যথাযথ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে যেন বাংলাদেশের মতো দেশগুলো টিকে থাকতে পারে। ঘ) অভিবাসী কর্মীদের বেকারত্ব মোচনের জন্য একটি অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ঘ) এই মহামারিতে কার্যকরীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মোবাইলফোনের মাধ্যমে সংক্রমণ চিহ্নিত করা গেছে। ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন সেক্টরে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে এই রকম উদ্ভাবনীমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী এর আগে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। ত্রাণ বিতরণের জন্য নিজের দলের নেতাকর্মীদের তিন দফা নির্দেশ জারি করেছেন। তবে কেবল দফায় দফায় প্রস্তাব কিংবা নির্দেশে তিনি থেমে থাকেননি। বরং তার দিনপঞ্জিতে করোনা লড়াইয়ের কর্মসূচি বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। এ জন্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিনে তিনি মহিমান্বিত হচ্ছেন।

৩.
বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রনায়ক যেখানে তাদের সরকারি লোকের ওপর নির্ভর করে করোনাভাইরাসের মহামারি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সার্বক্ষণিক ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায়। আমেরিকায় করোনাভাইরাস বেশি ছড়ানো এবং মৃত্যু ৫০ হাজারের অধিক হওয়ার কারণ হিসেবে সেখানকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে মোটকথা নেতৃত্বের ব্যর্থতাকে দুষছেন বিশিষ্টজনরা। সেখানে ২১ জানুয়ারি প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। কিন্তু তারা ছয় সপ্তাহ পর কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন ও সামাজিক দূরত্বমূলক ব্যবস্থা শুরু করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা মিডিয়ার বদৌলতে নিউইয়র্ক সিটির গভর্নরের প্রেস কনফারেন্স দেখছি কিংবা ইউরোপের অন্য কোনো নেতার বক্তব্য শুনছি অথচ গত ৮ মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর শেখ হাসিনা নিজেই এদেশের করোনা আক্রান্তের খবর, দ্রুত বদলে যাওয়া দেশের মানুষের আচরণ সম্পর্কে খোঁজ রাখছেন সবচেয়ে বেশি।

এখন তার দায়িত্ব পালনের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে গণভবন এবং ভিডিও কল থেকে শুরু করে মোবাইল, টেলিফোন, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে করোনা প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। জরুরি প্রয়োজনে মন্ত্রী, সচিব কিংবা দলীয় নেতাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নিজের বাসভবনে মিটিং করছেন। উদ্ভূত নতুন নতুন অবস্থাভেদে তৃণমূল নেতাদেরও ভিডিওকলে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। শেখ হাসিনার যথাযথ নির্দেশনার কারণেই এদেশে দ্রুত সময়ে আক্রান্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে, চিকিৎসার সুযোগও ক্রমাগত বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে যেখানে ২৮ লাখ কয়েক হাজার আক্রান্ত, মৃত দুই লাখের বেশি মানুষ সেখানে কেবল শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণে এদেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে না। ৫৫ জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের সাধারণ ছুটি আগামী ৬ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সবকিছুকেই তার পর্যবেক্ষণের আওতায় এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সরকারি প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ এবং চিকিৎসকগণ মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

রোগী শনাক্তের দুই সপ্তাহ পরই হার্ডলাইনে চলে যায় শেখ হাসিনা সরকার। গত দুই মাসে দেশের আট বিভাগের জেলা প্রশাসক, চিকিৎসক, পুলিশ, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ব্রিফিং ও নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংকট মোকাবিলার জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মতামতও নিয়েছেন। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য করণীয় ঠিক করে দিয়েছেন। আগেই বলেছি, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে জাতিকে ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৫ মার্চ থেকে সেনাবাহিনী মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে একইদিনে তিনি ভাষণ দেন। এ সময় দেশের পোশাক খাতসহ রফতানি শিল্পের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। মহামারির কারণে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরবরাহ ও চাহিদা দ্বিমুখী সংকটের সম্মুখীন। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে প্রায় ১১ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে যার মূল সুবিধা ভোগ করবে উৎপাদন ও সেবা খাত, কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষামূলক খাতসমূহ। এই সহায়তা প্যাকেজটি বাংলাদেশের জিডিপির শতকরা ৩ দশমিক ৩ ভাগের সমান। সংকট প্রলম্বিত হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষি উৎপাদন বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী এ সময় শুধু কৃষি খাতে প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা দিয়েছেন।

লেখাবাহুল্য, প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাস মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা ও সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের সূচনা হয় ৮ মার্চ থেকেই। ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় করোনাভাইরাস নিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন তিনি। ২৯ মার্চ পুনরায় কর্মহীনদের তালিকা করে ত্রাণ বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন। যেসব কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে খাদ্য সমস্যায় আছে প্রধানমন্ত্রী সেসব কর্মহীন লোক (যেমন- ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার) যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সংসার চালায় তাদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মী এবং সরকারের সকল স্তরে যেমন যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন, তেমনি দেশের কোথায় কী করতে হবে, কী ঘটছে- যাবতীয় বিষয়ে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ৫ এপ্রিল গণভবনে প্রেস কনফারেন্স করেন তিনি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে নতুন করে ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন চারটিসহ পাঁচটি প্যাকেজে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। ১৩ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। ১৬ এপ্রিল থেকে একাধিক দিন তিনি বিভাগ ও জেলাভিত্তিক মাঠপর্যায়ের প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিওকলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

৪.
১৯৮১ সালের ১৭ মে থেকে ১৯৯৫ এবং ২০০১-২০০৭ সাল পর্যন্ত জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবতীর্ণ ছিলেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তার সেই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন। তিনি শ্রমজীবী মানুষ বা খেটে খাওয়া মানুষের ঘরের খবর জানেন, তিনি মধ্যবিত্তের কথাও ভাবেন। আবার দেশের শিল্প-কলকারখানা বাঁচাতে হবে তাও চিন্তা করেন। এসব দিকে তিনি খেয়াল রেখেছেন। কিন্তু তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি। করোনা মোকাবিলায় ফ্রন্টলাইনে থাকা চিকিৎসক, ব্যাংক কর্মকর্তা এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করেছেন তিনি। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা ও বিপদের মধ্যে থাকা মিডিয়া কর্মীরাও তার সহানুভূতি থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেই আমার বিশ্বাস। মূলত করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিদিনের কর্মসূচিতে উচ্চারিত ও বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর এ জন্যই বিশ্ব মিডিয়ায় তিনি প্রশংসিত হচ্ছেন; যা তার জন্য প্রত্যাশিত অবশ্যই।

লেখক : ড. মিল্টন বিশ্বাস
বিশিষ্ট লেখক, কবি, কলামিস্ট
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম
এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here