করোনায় একদিনে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৫৪৯

0
47

নিউজ ডেস্ক: দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫৪৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪৬২ জনে। একই সময়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৫ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও আটজন, এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৯-এ।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার হাজার ৩৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৪ হাজার ৭৩৩টি। নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৫৪৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৪৬২ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও তিনজন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৫ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও আটজন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৩৯ জন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।

ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়তো ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না। এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। ফলও দিতে হচ্ছে তাদের। কারণ সংক্রমণ সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর তালিকার মাঝেই নেই চীন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বর্তমানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এ রকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here