বাংলা খবর, ঢাকা:
দেশে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এ ব্যাপারে প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন ৭৯০ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরো ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ১ জন নারী এবং ২ জন ঢাকার ভেতরের ও ১ জন ঢাকার বাইরের। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৬ জনে।
বুধবার (৬ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বুলেটিনে আরো বলা হয়, করোনা ভাইরাস শনাক্তে মোট ৩৩টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৪১টি পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরো ৭৯০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭১৯ জনে।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ১৮৪ জনকে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৭৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৮৪ জন এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৩২৭ জন। সারা দেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৯ হাজার ৬৩৮টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে তিন হাজার ৯৪৪টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৬৯৪টি।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন তিন হাজার ৮৮৯ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট দুই লাখ এক হাজার ৭০০ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৮৭২ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার ৫৬১ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪১ হাজার ১৯৩ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে সেবা প্রদান যাবে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৫৮ হাজার ৮৮৫টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৪১ লাখ তিন হাজার ৯৪৫ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ১৮ জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৩৮ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মোবাইল ফোন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৬৭৬ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর এ পর্যন্ত এ দুই মাধ্যমে ১৭ লাখ ২৩ হাজার ৫০ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে জানানো হয়, আইইডিসিআর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরই একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে গবেষণা ও কোয়ালিটি কন্ট্রোলের কাজ করবে। আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি নমুনা সংগ্রহের যে কাজ করত, এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে তবে তা ভিন্ন আঙ্গিকে। আর নমুনা সংগ্রহের জন্য নতুন করে বুথ তৈরি হচ্ছে। এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।