করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদস্য দেশগুলোকে ২০ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

0
66

বাংলা খবর ডেস্ক:
ওষুধ তৈরি, বিতরণ এবং করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরি করে এমন কোম্পানিগুলোকে ২০ কোটি ডলার দিচ্ছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির সদস্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর এসব কোম্পানি আর্থিক এই সহায়তা পাবে। এডিবি বলেছে, তাদের ‘সাপ্লাই চেইন ফিন্যান্স প্রোগ্রামের’ অধীনে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী অনলাইন ডন। এতে আরো বলা হয়েছে, এন ৯৫ মাস্ক, টেস্ট কিট, গ্লোভস, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ভেন্টিলেটরস, হাইজিন সামগ্রী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের মতো সাপ্লাই চেইনকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। পোস্ট শিপমেন্ট পোস্ট এক্সেপটেন্স ফিনান্স, প্রি-শিপমেন্ট লোন এবং ডিস্ট্রিবিউটর ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে এসব পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণকে টার্গেট করে এই সহায়তা দিচ্ছে এডিবি। এতে আরো বলা হয়, এসব পণ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে আরো সঙ্কটে পড়েছে ২২ টি দেশে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, মিশর, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জাপান, জর্ডান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, পোল্যান্ড, চীন, রাশিয়া, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, তাইপে, থাইল্যান্ড ও ইউক্রেন।

এসব দেশে ১৮ই মার্চ থেকে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ট্রেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রামে ৮০ কোটি ডলার বৃদ্ধি করে তা সরবরাহ করা হবে। বর্ধিত এই মূলধন জরুরি অবস্থায় আভ্যন্তরীন এবং আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনবে। সঙ্কট মোকাবিলায় এই কর্মসূচি খুবই কার্যকর একটি উদ্যোগ। কারণ, এর সঙ্গে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর ভিতরের এবং বৈশি^ক অনেক ব্যাংকের রয়েছে শক্তিশালী সম্পর্ক।
এডিবি তার রিপোর্টে বলেছে, পিপিইর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা কেনার ক্ষেত্রে প্যানিক সৃষ্টি হয়েছে। অপব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে বৈশি^ক বিতরণ ব্যবস্থা বিঘিœত হচ্ছে। আর মানুষের জীবন পড়ছে ঝুঁকিতে। বৈশি^ক উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে চাহিদা বেড়েছে অনেক। সার্জিকেল মাস্ক, চশমা, গ্লোভস ও গাউনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে মজুদে টান পড়েছে। এর ফলে মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। যে পরিমাণ চাহিদা আছে তা পূরণ করতে চার থেকে ৬ মাস সময় লাগবে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হলো গুরুত্বপূর্ণ পিপিইর সঙ্কট। বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব দেশ এই করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকেতে সেখানে এমন অবস্থা দেখা দিচ্ছে। ২০১৮ সালে বিশ^জুড়ে স্বাস্থ্যখাতে পিপিইর বাজার ছিল প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের। বিক্রয়খাতে সর্বোচ্চ রাজস্ব এসেছে গ্লোভস থেকে, যা শতকরা ২৫ ভাগ। এর পরে রয়েছে স্যুট, যার পরিমাণ শতকরা ২২ ভাগ। ফেস মাস্ক এবং হ্যাট রয়েছে এর পরে, যা শতকরা ১৪ ভাগ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here