শুনলেও ভাললাগে ……….

0
82


শাহানা হুদা:

বলুনতো সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে এর মত এই পাঁচতারকা হোটেলগুলোতে অতিথি হিসেবে এখন কারা আছেন ? জানি এটা ধারণা করাও অসম্ভব আমাদের জন্য । বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিক ভাইরা আছেন। যাদের করোনা ধরা পড়েছিল, সুস্থ করার পর হাসপাতাল অথরিটি এইসব হোটেলেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে।

আমার বন্ধু হাসপাতালে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ইন্টারপ্রেটার হিসাবে কাজ করে । ও জানালো এই পাঁচতারকা হোটেলে থাকতে গিয়ে শ্রমিক ভাইরা ক্লান্তবোধ করছেন । তারা বলছেন এভাবে, এত আয়েশে থাকা খুব কঠিন । এর চেয়ে আমাদের ডর্মে দিয়ে দিক । কিন্তু অথরিটি বলেছে করোনার দমক না কমা পর্যন্ত এনারা এখানেই থাকবেন । এরজন্য যা দরকার, ওরা ব্যবস্থা করবে ।

যেমন এইসব হোটেলের খাওয়া তারা খেতে পারছেন না, তাই তাদের জন্য গরুর মাংশ, ভাত আর ডালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । সরবৎ, খেজুর খুঁজে খুঁজে আনা হচ্ছে । তারা আর যাকিছু চাইবে, তাও দেয়া হবে কিন্তু এইসব হোটেলেই তাদের থাকতে হবে।

এর আগে মুসলিম শ্রমিকরা যাতে করোনা পরীক্ষার জন্য নিশ্চিন্তে নাকের সোয়াপ টেষ্ট করাতে পারেন, এজন্য স্থানীয় মুফতির থেকে বয়ান যোগাড় করা হয়েছে । তাদের জানানো হয়েছে এতে তাদের রোজা ভাঙবেনা ।

সিঙ্গাপুরের ধনী নাগরিক ও বড় বড় ব্র্যান্ডের দোকানগুলোর পক্ষ থেকে করোনা সহায়তা হিসেবে হাসপাতালগুলোতে এত বেশি পরিমাণে দানবাক্স পাঠানো হচ্ছে যে হাসপাতালগুলো হাতজোড় করে মাফ চাইছে । যেসব ব্রান্ড যা উৎপাদন করে, তারা তাই পাঠাচ্ছে । খাওয়া, পোশাক, ফল, জুস সব যাচ্ছে । এছাড়া টাকা ও চিকিৎসামগ্রীতো আছেই । করোনা রোগী হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার সময় তাকে উপহার হিসেবে এইসব দিয়ে দেয়া হচ্ছে ।

সরকার তার রিজার্ভ থেকে সব নাগরিককে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে । সরকার বলেছে তারা তাদের পূর্বসুরীদের গঠন করা এই রিজার্ভ ফান্ডে এই প্রথমবারের মত হাত দিয়েছে । এই ফান্ডের কারণেই করোনা মোকাবিলায় তাদের আর কারো কাছ থেকে সাহায্য নিতে হবেনা । এইজন্য তারা তাদের পূর্বসুরীদের কাছে কৃতজ্ঞ ।

এই তথ্যগুলো পেয়ে আমার এত ভাললাগলো যে ভাবলাম শেয়ার করি । মুসলিম অধ্যুষিত দেশ না হয়েও অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি কতটা সম্মান দেখানো যায় । দেশের চরম খারাপ সময়ে সরকারের পাশাপশি ধনী নাগরিকরা কীভাবে মানুষের সহায়তায় পাশে দাঁড়াতে পারেন ।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here