বাংলা খবর ডেস্ক:
গার্মেন্ট ও বাজার খুলে দেয়ায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেন, জরুরি কাজ ছাড়াও সাধারণ মানুষ অহেতুক বাইরে ভীড় করছেন। মানুষের জীবিকার তাগিদে সরকারকেও সীমিত পরিসরে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কল কারখানা খুলে দিতে হয়েছে। এসব কারণে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হয়তো আরো কিছু বৃদ্ধি পেতেও পারে। তবে, এই বৃদ্ধি খুব বেশি ক্ষতিকর কিছু হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় নব নিয়োগপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই সংখ্যা কমে আসবে। অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা ভালো করছি। আমাদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক কম বলেও জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমরা দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার ৫৪ জন নার্সকে নিয়োগ দিয়েছি।
নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চললে ১০ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ হতো। সবার পরিশ্রমেই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে। তাই সবাই মিলে আমরা একসঙ্গে কাজ করব এবং এই যুদ্ধে জয়লাভ করব।
জাহিদ মালেক বলেন, মানুষ অসহায় হয়ে চিকিৎসকদের কাছে আসে। তাই চিকিৎসক-নার্সদের উচিত রোগীদের পাশে দাঁড়ানো। রোগীদের মানসিকভাবে শক্তি বাড়ানো আপনাদের দায়িত্ব।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অনেকগুলো কোভিড-১৯ হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়েও করা হয়েছে। এসব হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য সিনিয়র স্টাফ নার্সদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। শুধু করোনা রোগী নয়, সবাইকেই সেবা দেয়া এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতেও আহ্বান জানান তিনি।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর।