শুনেছিলাম বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনার কথা – ওয়াসিম

0
108

বাংলা খবর ডেস্ক:
মঙ্গলবার বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের নিয়মিত সরাসরি অনলাইন আড্ডায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। মূলত তামিমের আড্ডা চলছিল আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর খালেদ মাসুদ পাইলটকে নিয়ে। এই তিনজনের সঙ্গে ঢাকা আবাহনীতে এক মৌসুম খেলেছেন ওয়াসিম। প্রতিপক্ষ হিসেবেও পেয়েছেন। তামিমের আড্ডায় সেই স্মৃতি রোমন্থন করলেন তারা। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসারের কাছে তামিম জানতে চান, ১৯৯৫ সালে সেরা সময় কাটানো ওয়াসিম আকরাম কেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে আসলেন?

ঢাকা আবাহনীর তৎকালীন সংগঠক আ হ ম মোস্তফা কামালের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। অবশ্য তার আরো একটা উদ্দেশ্য ছিল আবাহনীর হয়ে খেলতে আসার। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা দেখার উদ্দেশ্যেই এসেছিলাম।

আর্থিক বিষয়টা মুখ্য ছিল না। কামাল ভাই (সাবেক বিসিবি সভাপতি ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী মোস্তাফা কামাল) আমাকে হঠাৎই আমন্ত্রণ জানায়। উনি আমাকে বলেছিলেন, আমাকে আসতেই হবে। আমার মনে আছে প্রথম ম্যাচেই (ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে) দেখেছিলাম দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়াম। অন্য যারা বাংলাদেশে খেলে গিয়েছিল তাদের কাছে আমি শুনেছিলাম এখানকার মানুষের ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনার কথা। তবে এতটা জনপ্রিয় তা ভাবিনি। জানতাম না বাংলাদেশে এতটা ক্লাবের প্যাশন আছে। আমি কখনোই ভাবিনি, ক্রিকেট এখানে এত বড়। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি মিলিয়ে এখানে এত ক্লাব তা ভাবিনি। বাংলাদেশ আমার খুব কাছের। এই দেশের মানুষ, খাবারের প্রতি আমি আকর্ষণ অনুভব করি। বিশেষ করে মাছের ঝোল খুব মিস করি।’

‘গ্রিনিজের অনুশীলন ক্যাম্প ছিল জেলখানার মতো’

ওদিকে তামিম ইকবালের সঙ্গে মঙ্গলবারের রাতের লাইভ আড্ডায় ফেলে আসা অতীতে ফিরে গিয়েছিলে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক তিন অধিনায়ক আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও খালেদ মাসুদ পাইলট। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির আগে এবং পরে- বাংলাদেশ ক্রিকেটের পালাবদলের বইয়ের বড় একটা অধ্যায় বদলে গেছে। সে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর বড় অবদান ছিল তখনকার কোচ গর্ডন গ্রিনিজের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিংবদন্তী ক্রিকেটার ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, খালেদ মাসুদ পাইলটদের তিনি এতই কঠোর জীবনধারায় ব্যস্ত রাখতেন যে, পাইলটের কাছে তা জেলখানার মত মনে হত!

খালেদ মাসুদ পাইলটের ভাষায়, ‘বিকেএসপিতে যেন কারাগারে ছিলাম আমরা। ভোরে উঠেই ফিটনেস ট্রেনিং করাতো গর্ডন গ্রিনিজ। এরপর বিরতি দিয়ে আবার ব্যাটিং-বোলিং।

আরেকটা বিরতি দিয়ে আবার ফিল্ডিং। দিনের পুরোটা আলো ব্যবহার করতো। বৃহস্পতিবার রাতে ফিরতে পারতাম ঢাকায়, এরপর আবার শুক্রবার সেই কারাগারে। ৯৭-এ যে ক্যাম্প ছিল, আকরাম ভাই, নান্নু ভাই, বুলবুল ভাই, মনি ভাইয়ের একটা রুম ছিল। আমি একটু দুষ্টু প্রকৃতির ছিলাম। আমাকে তারা খুবই আদর করত। ওই রুমে খুব আড্ডা দিতাম। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যেটা আমার জীবনে কাজে লেগেছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here