বাংলা খবর ডেস্ক:
এখন আফশোস করছে ইংল্যান্ড ফুটবল সংস্থা ও লিভারপুল শহরের প্রশাসন।
এনএইচএসের নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, ১১ মার্চ অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬–র দ্বিতীয় দফার ম্যাচে যে ৫২ হাজার দর্শক এসেছিলেন, তার মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন। সংক্রামিত আরও কতজন তার সঠিক হিসেব পাওয়া যায়নি। অ্যানফিল্ডে সেদিন লিভারপুর মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। স্পেনে তখন করোনা পুরোদমে ছড়িয়ে পড়লেও ইংল্যান্ডে তার ভয়ঙ্কর ছাপ পড়েনি। এই ম্যাচ দেখতে মাদ্রিদ থেকে তিন হাজার সমর্থক এসেছিলেন। অনুমান, স্পেনীয় দর্শক থেকেও গ্যালারিতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। মাদ্রিদের মেয়র জোস লুইস মার্টিনো ক’দিন আগেই বলেছেন, ‘ওই ম্যাচ দেখতে আমাদের সমর্থকদের পাঠানো উচিত হয়নি।’
ইংল্যান্ড জুড়েও সমালোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, মার্চ মাসের শুরু থেকেই পাব, হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল, ইংল্যান্ডের অনেক খেলার মাঠে দর্শক ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন কেন অ্যানফিল্ডের ওই ম্যাচ দর্শকহীন করা হল না? সেটা হলে এই ৪১ জনের মৃত্যু হত না। ইংল্যান্ডের মাঠে এটাই ছিল দর্শকভর্তি মাঠে শেষ কোনও ম্যাচ। সেই অর্থে এই ম্যাচের পর আর বড় কোনও ম্যাচ হয়নি। ওই ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের গোলে অ্যাটলেটিকো হারিয়েছিল লিভারপুলকে।
স্টেডিয়ামের দর্শক থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রথম ঘটনাটা অবশ্য প্রকাশ্যে আসে ইতালিতে। মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ হয়েছিল আটলান্টার সঙ্গে ভ্যালেন্সিয়ার। ওই ম্যাচে ৪৪ হাজার দর্শক মাঠে ছিলেন। এই শহরের মেয়র পরে দাবি করেন, ‘স্টেডিয়ামে সেদিন বায়োলজিক্যাল বম্ব রাখা হয়েছিল। ওই ম্যাচের দর্শকরা হাজার হাজার মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রামিত করেছিলেন।’