বাংলা খবর ডেস্ক:
অবশেষে কলকাতায় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর কেন্দ্র ফোর্ট উইলিয়ামেও বার্তা এলো লাদাখে চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে কোনও পরিস্থিতির জন্যে তৈরি থাকুন। সেনাকে সবভাবে প্রস্তুত রাখুন। যুদ্ধ বিশ্লেষক, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যেভাবে মঙ্গলবার যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতেই সেনাকে এই নির্দেশ। জিনপিং মঙ্গলবার চীনের সেনাবাহিনীর উদেশ্যে একটি বার্তা দিয়ে বলেছেন, করোনাজনিত সমস্যা থেকে দেশ মুক্ত। এখন সেনাবাহিনীকে আরও বেশি প্রস্তুতি নিতে হবে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্যে। উল্লেখ্য, উত্তর লাদাখে সিকিমের উত্তরেও চীনা সৈন্য সমাবেশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল একটি বৈঠকে বসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার তিনহাজার চারশো অষ্টআশি কিলোমিটার জুড়ে চীন যে ভাবে সেনা সমাবেশ করেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
লাদাখের তিনটি সেক্টর পয়গান সো, গাওলান উপত্যকা এবং ডেমচকে চীন বিশাল সেনা সমাবেশ করেছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে যে চীন গাড়ি গুন্শাতে বিশাল নির্মাণ কাজ করছে। উল্লেখ্য, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে লাদাখের ফিঙ্গার থ্রি ও ফোরে ভারতের নিজের এলাকায় রাস্তা নির্মাণ নিয়ে চীনা বাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। দুই বাহিনীরই সেনা আহত হয়েছে এই সংঘর্ষে। লাদাখকে ভারত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর থেকেই চিনা উষ্মা মালুম হচ্ছিলো। তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, করোনা নিয়ে চীনের ওপর মার্কিন আরোপ, তাইওয়ানের অশান্ত সমস্যা থেকে বিশ্বের মুখ ঘোরানোর তাগিদেই বেজিং এর এই প্রয়াস। যাই হোকনা কেন ভারত – চীন লাদাখ সীমান্তে এখন বাতাসে বারুদের গন্ধ।