নিউইয়র্কয়ে ব্যাপকভাবে করোনা টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো হয়েছে

0
115
ছবি: সংগৃহীত

বাংলা খবর ডেস্ক,নিউইয়র্ক:
লকডাউনে থাকা আমেরিকার অধিকাংশ এলাকাই খুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। মাস্ক পরে লোকজন সমুদ্রসৈকত বা পার্কে যাচ্ছে। গ্রোসারিসহ অন্যান্য শপিং এলাকায় লোকজন দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াচ্ছে। নিউইয়র্কসহ সর্বত্র ব্যাপকভাবে টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। আমেরিকার সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর নগরী নিউইয়র্কও এখন ধাপে ধাপে খুলছে।

নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও জানিয়েছেন, নগরীতে এর মধ্যেই ১ হাজার ৭০০ কন্টাক্ট ট্রেসার নিয়োগ করা হয়েছে। এসব ট্রেসার স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সংক্রমিত লোকজনকে অনুসরণ করছে। তাদের আইসোলেশনে যাওয়া, কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে সংক্রমিত লোকজনের ওপর। সংক্রমিত কোনো লোকের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে ট্রেসাররা জানাচ্ছেন টেস্টিং করাসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য নিউইয়র্কজুড়ে টেস্টিং এবং কন্টাক্ট ট্রেসিং জোরদার করা হচ্ছে।

নগরীর পক্ষ থেকে টেস্ট ও ট্রেসিং নিয়ে ১০ মিলিয়ন ডলারের প্রচারণা শুরু করার কথা জানিয়েছেন নগরীর মেয়র।

মেয়র আরও জানান, আসছে আগস্টের মধ্যে নিউইয়র্ক নগরীর ৫টি বরোতে দিনে ৫০ হাজার মানুষের করোনা টেস্ট সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নগরীতে দুই ধরনের কন্টাক্ট ট্রেসার এর মধ্যেই কাজ শুরু করেছেন। ৯৩৮ জন তদন্তকারী ট্রেসার। এর মধ্যে ৪১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নগরীর সবচেয়ে আক্রান্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে। ৪০টি ভিন্ন ভাষায় কথা বলা লোকজনকে নেওয়া হয়েছে অভিবাসীদের মধ্যে ট্রেসিং সুবিধার জন্য। বেশ কজন বাংলাদেশিও কন্টাক্ট ট্রেসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

মেয়র জানিয়েছেন, দ্রুত আরও ৭৭০ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৩১ জন স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে পারবেন। নগরীর হাসপাতালে এখনো ৪২৩ জন আইসিইউতে আছে। এ সংখ্যা আরও কমার আশা করা হচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যেই। মেয়র বলেছেন, ‘আমরা এখনো ঠিক সহনীয় অবস্থায় পৌঁছাতে পারিনি সবদিক দিয়ে।’

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে নিউইয়র্কে মৃত্যুর সংখ্যা একক, দশক ছাড়িয়ে হাজারে গড়িয়েছে। এ কারণে এখন এক দিনে ৭৩ জনের মৃত্যুসংবাদকেও এখন ভালো সংবাদ মনে করা হচ্ছে। ২৬ মে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আগের দিনে নিউইয়র্কে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটাই আজকের এক অবান্তর বাস্তবতা, ৭৩ জনের মৃত্যুকেও ভালো সংবাদ বলতে হচ্ছে। মার্চ মাস থেকে রাজ্যের সর্বনিম্ন মৃত্যু হয়েছে মেমোরিয়েল ডের দিনে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে ২৯ হাজার ৪৫১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর পুরো আমেরিকায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু থামেনি। সংখ্যা হিসাবে এখনো যোগ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকায়। প্রকৃত সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, কেউ এখনো জানে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here