বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
সরকারি অফিস খুলে যাওয়ার পর খুলতে শুরু করেছে দেশের অনেক ক্রীড়া ফেডারেশন। গত রোববার থেকে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশেন (বিওএ) ছাড়াও বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন তাদের কাজ শুরু করেছে। তবে সব জায়গায়ই স্বল্প পরিসরে। পুরোদমে কাজ শুরু হয়নি কোথাও। প্রয়োজনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসে আসার অনুমতি নেই। যারা অফিসে আসেন, তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন। তবে ফেডারেশনগুলো খুললেও এখনই মাঠের খেলা শুরু হচ্ছে না।
মাঠের খেলা শুরু করতে জুন মাসটা দেখতে চান যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মার্চের মাঝামাঝি বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব খেলাধুলা। সরকারের নির্দেশে বন্ধ করা হয় ফেডারেশনগুলো। ৩১শে মে সরকার ঘোষিত বিশেষ ছুটি শেষ হওয়ার পর আবার প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে ক্রীড়াঙ্গনে। ফেডারেশরনগুলো খোলার পর মাঠে খেলা ফেরানো নিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন- ‘দেখুন, সরকার প্রয়োজনের তাগিদে অনেক কিছু খুলেছে। গার্মেন্টসগুলো খোলার পর কিন্তু অনেক কর্মচারীর নিজেদের সংসারের খরচ মেটাতে পারছে। তবে ক্রীড়াঙ্গন কিন্তু সে রকম না। আমাদের সামনে এমন কোনো জরুরি খেলাধুলা নেই যে এখনই শুরু করতে হবে। আরো সময় নিয়ে দেখেশুনে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু খেলা আছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা যায়। যে খেলাগুলোয় ফিজিক্যালি কোনো কনটাক্ট নেই। ধরুন দাবা, সিঙ্গেল ব্যাডমিন্টন, সিঙ্গেল টেবিল টেনিস, টেনিস, আরচারি, শ্যুটিং এরকম আরো কয়েকটি। এ সব ফেডারেশন জরুরি মনে করলে আয়োজন করতে পারবে অন্য খেলাগুলোর আগে। তবে সেটা কোনোভাবেই জুনের পর ছাড়া নয়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে রাসেল বলেন, আমাদের দেশের মানুষ এমনিতে একটু অসচেতন। তাই খেলাধুলা শুরু করে আমরা কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে চাই না। এই মাসটা দেখবো। তারপর জুলাইয়ের প্রথম দিকে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো লোকাল খেলাধুলা কবে চালু হবে। তবে বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট থাকলে তার বিষয়টি ভিন্ন। যেমন ফুটবল ক্রিকেট। এসব খেলাধুলায় যদি সামনে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থাকে। তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেডারেশনগুলো নিজ উদ্যোগে তা চালু করতে পারবে। সেগুলো আবার আমরা গভীরভাবে মনিটরিং করবো। যাতে করে আমাদের খেলোয়াড়রা কোনো রকম বিপদে না পড়ে।