করোনা: দেশে ২৪ ঘন্টায় আরো ৪২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন

0
115

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩০ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭৩৫ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রবিবারের চেয়ে আজ সোমবার ৮ জন কম শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল শনাক্ত হয়েছিলেন ২,৭৪৩ জন। এনিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখা দাঁড়ালো ৬৮,৫০৪ জন।

আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়,গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩,৯৬১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ১২,৯৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।

দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।


বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মোট ৪ লাখ ৫৮১ জন প্রাণ হারিয়েছে

ওদিকে চীনে গত ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী এ মহামারি ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার গ্রীনিচ মান সময় ১৯০০ টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এ তথ্য জানায়।

এএফপি’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের ১৯৬ টি দেশ ও ভূ-খন্ডে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট ৬৯ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ লাখ ৩০ হাজার ৮০০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য থেকে এএফপি’র সংগ্রহ করা উপাত্ত ব্যবহার করে তৈরি করা এ পরিসংখ্যান করোনাভাইরাসের প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যার কেবলমাত্র একটি আংশিক প্রতিফলন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, বিশ্বের অনেক দেশ কেবলমাত্র গুরুতর আক্রান্ত লোকদেরই করোনা পরীক্ষা করছে।

এদিকে একক দেশ হিসেবে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড- ১৯ ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৩৭ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে কমপক্ষে ৫ লাখ ৮৪৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে ৪০ হাজার ৫৪২ জনের মৃত্যু ও ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৪ জন আক্রান্ত, ব্রাজিলে ৩৫ হাজার ৯৩০ জনের মৃত্যু ও ৬ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ জন আক্রান্ত, ইতালিতে ৩৩ হাজার ৮৯৯ জনের মৃত্যু ও ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৮ জন আক্রান্ত এবং ফ্রান্সে ২৯ হাজার ১৫৫ জনের মৃত্যু ও ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।

দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় বেলজিয়ামে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হার সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে প্রতি লাখে ৮৩ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা ব্রিটেনে প্রতি লাখে ৬০ জন, স্পেনে ৫৮ জন, ইতালিতে ৫৬ জন ও সুইডেনে প্রতি লাখে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হংকং ও ম্যাকাউ বাদে চীনে করোনাভাইরাসে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু এবং ৮৩ হাজার ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে ৭৮ হাজার ৩৩২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।

এ পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসে মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৬ জন মারা গেছে এবং ২২ লাখ ৭৫ হাজার ৯১ জন আক্রান্ত হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় একত্রে ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৮৫ জন মারা গেছে এবং ২০ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ।

ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোতে করোনাভাইরাসে ৬৪ হাজার ২১৯ জন মারা গেছে এবং ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এশিয়ায় করোনাভাইরাসে ১৯ হাজার ২৪৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং ৬ লাখ ৮০ হাজার ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসে মোট ১০ হাজার ৪৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২২ জন আক্রান্ত হয়েছে। আফ্রিকায় করোনাভাইরাসে মোট ৫ হাজার ৭৪ জন মারা গেছে এবং ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। ওশেনিয়ায় করোনাভাইরাসে ১৩১ জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং ৮ হাজার ৬৪০ জন আক্রান্ত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here