যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ

0
123

বাংলা খবর ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে করোনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড গড়েছে বুধবার। এদিন আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে ৫২,৯৮২ জনের। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফসি। তিনি বলেছেন, সর্বশেষ এই সংক্রমণের ধারা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তাহলে ভয়াবহ করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। ওদিকে আক্রান্ত রাজ্যগুলোর হাসপাতালগুলো পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। হিউজটনের একটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেছেন, পরিস্থিতি আগামী ১৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় পৌঁছে যেতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও সিএনএন।
বিবিসি রেডিও ৪-কে টুডে প্রোগ্রামে ড. অ্যান্থনি ফসি বলেছেন, আমরা সবচেয়ে বাজেভাবে আক্রান্ত হয়েছি।

অন্য যেকোন দেশের তুলনায় আমরা বেশি আক্রান্ত। আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা উভয় দিক দিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র। এখন সমস্যা হলো তথাকথিত সবকিছু খুলে দেয়া অথবা সরকারের সব উন্মুক্ত করে দেয়ার উদ্যোগ। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অত্যন্ত হতাশাজনকভাবে সংক্রমণ বেড়েছে। আমাদেরকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র আরো বড় মহামারিতে পড়বে। তিনি এক্ষেত্রে ইউরোপীয়ান দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনা করেন। বলেন, ইউরোপে শতকরা ৯৭ ভাগই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা মাত্র ৫০ ভাগ লকডাউন করা হয়েছিল। এই ধারণার কারণে প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে। জনগণ, বিশেষ করে তরুণ সমাজের মধ্যে আমাদেরকে আরো সামাজিক দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করতে হবে।
ওদিকে ইউনাইটেড মেমোরিয়াল মেডিকেল সেন্টারের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ড. জোসেফ ভেরন বলেছেন, আগের দশ সপ্তাহের চেয়ে গত তিন সপ্তাহে আমি অধিক পরিমাণে রোগী এবং পীড়িত মানুষকে ভর্তি হতে দেখেছি। রোগীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে অন্য হাসপাতালগুলোরও একই অবস্থা। সিএনএন বলছে, কমপক্ষে ১২টি রাজ্যে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনটা এ সপ্তাহে বলেছে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের পরিচালক। এর ফলে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে যে, রোগী বৃদ্ধির ঘটনায় আরো একবার হাসপাতাল উপচে পড়তে পারে। সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে স্টাফ, বেড এবং ভেন্টিলেটরে। কিছু হাসপাতাল এখনই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। ফলে তারা অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছে রোগী। অন্য হাসপাতালগুলো অনাকাঙ্খিত প্রাদুর্ভাব সামাল দেয়ার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here