হার্ভার্ডের সঙ্গেও ‘যুদ্ধে’ প্রেসিডেন্ট

0
80
ফাইল ছবি

বাংলা খবর ডেস্ক:
এক দিনেই আক্রান্ত ৬০ হাজার! করোনা-তালিকার শীর্ষে থাকা আমেরিকায় ফের নতুন ‘রেকর্ড’। দেশে মোট সংক্রমিত ৩১ লক্ষ পেরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সব স্কুল-কলেজ খুললে করোনার তৃতীয় ঝড়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তবু নিজের খেয়ালেই। তড়িঘড়ি লকডাউন তোলার পরে এ বার তিনি চাইছেন, অগস্ট থেকেই ক্লাস-লেকচার ফিরুক সর্বত্র। স্কুলগুলিকে বরাদ্দ ছাঁটাইয়ের হুমকি দিয়ে প্রেসিডেন্ট জানান, এ নিয়ে সব প্রদেশকে চাপ দেবেন তিনি।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্তু তা চাইছে না। ৪০ শতাংশ পড়ুয়ার উপস্থিতিতে আগামী সিমেস্টারের সব ক্লাস অনলাইনে নিতে চাইছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। কাল হোয়াইট হাউসের গোলটেবিল বৈঠকে যা ‘সম্পূর্ণ হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিলেন ট্রাম্প। আজ আবার পাল্টা ট্রাম্প-প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করল হার্ভার্ড। বিদেশি পড়ুয়াদের তাড়াতে ট্রাম্পের ‘ফতোয়া’-র বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কোর্টে গেল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিও (এমআইটি)। আর বিরোধী শিবির থেকে কটাক্ষ ভেসে এল— করোনার সঙ্গে লড়তে নেমে দিশেহারা ট্রাম্প এ বার যুদ্ধ বাধালেন হার্ভার্ড, এমআইটি-র সঙ্গেও!

সোমবার মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক দফতর জানিয়েছিল, ক্লাস অনলাইনে হলে বিদেশি পড়ুয়াদের আমেরিকা ছাড়তে হবে। আজ হার্ভার্ড জানিয়েছে, নয়া নির্দেশিকায় তাদের অন্তত পাঁচ হাজার বিদেশি পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে। একই রকম অভিযোগ তুলে ম্যাসাচুসেটস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের কাছে এর উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছে এমআইটি-ও।

হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট, ল্যারি ব্যাকাওয়ের কথায়, ‘‘জুলাইয়ের এই সাত দিনেই যখন দেশে ৩ লক্ষেরও বেশি সংক্রমিত, তখন ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে প্রেসিডেন্টের এই চাপ সৃষ্টি ভয়াবহ।’’ ট্রাম্পের এই ‘তৎপরতা’-র পিছনে অনেকে ভোটের অঙ্কও দেখছেন। তবে স্কুল-কলেজ খোলার পিছনে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প শিশুদের যে-মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার যুক্তি দিয়েছেন, তা নিয়ে ভাবা উচিত বলেও মত অনেকের।

গত কালই ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রপুঞ্জকে জানান, ২০২১-এর ৬ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) থেকে সরকারি ভাবে বেরিয়ে যাবে আমেরিকা। এটাও ট্রাম্পের ‘স্টান্ট’ বলে উড়িয়ে দিয়ে ডোমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন জানান, তিনি ক্ষমতায় এলে হু-র সঙ্গেই থাকবে দেশ।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here