সাবেক স্ত্রীকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’, মামলা করবেন অপূর্ব

0
110
অপূর্ব ও অদিতি। পুরোনো ছবি

বাংলা খবর ডেস্ক:
চলতি বছর ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজিয়া হাসান অদিতির ৯ বছরের সংসার ভেঙে গেছে। তখনই এই অভিনেতা জানিয়েছিলেন, বিচ্ছেদ হলেও সাবেক স্ত্রী অদিতির পাশে সবসময় থাকবেন তিনি। কারণ অদিতি তার সন্তান জায়ান ফারুক আয়াশের মা। এবার সেটি প্রমাণ করলেন অপূর্ব।

সম্প্রতি র‌্যাবের হাতে সদ্য গ্রেপ্তার এক প্রতারক ও দুর্নীতিবাজের সঙ্গে নাম জড়ানো হয় অদিতির। তাদের দাম্পত্য বিচ্ছেদের কারণ হিসেবেও এটি উল্লেখ করা হয়। যা নিয়ে ভীষণ চটেছেন এই তারকা। শুধু তাই না, বিষয়টি নিয়ে মামলাও করছেন অপূর্ব। নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

বাংলা খবর অনলাইন’র পাঠকদের জন্য অপূর্বর ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হলো- কোনো ধরনের ভনিতা না রেখেই বলছি, গত দুইদিন থেকে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ভুঁইফোঁড় ধরনের অনলাইন পত্রিকা কোন ধরনের তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই আমার সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি এবং আমার বিচ্ছেদের ব্যাপারে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। যা আমার এবং অদিতির জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। আমি আগেও বলেছিলাম, অদিতির সঙ্গে আমি এখন সাংসারিক জীবনে না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। সুতরাং অদিতির সম্মান নিয়ে বা অদিতির নামের সঙ্গে জড়িয়ে তৃতীয় কারও নাম নিয়ে যে বা যারা কোনো ধরনের কোনো নোংরা খেলায় মাতবে, এদের কাউকেই আমি ছেড়ে কথা বলব না।

অপূর্ব আরও লিখেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে দেশের একজন দূর্নীতিবাজের সঙ্গে আয়াশের মাকে জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা এবং কাল্পনিক ঘটনা প্রচার করার জন্য আমি এই দেশের একজন সুনাগরিক হিসাবে এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। শুধু প্রতিবাদই না, আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা নিয়ে এই ধরনের নোংরা মিথ্যাচার ছড়ানোর দায়ে আমি এই সকল পত্রিকার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যা আজকালের ভেতরে সম্পন্ন হবে। আমি খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, অদিতি আমার স্ত্রী ছিল এবং এখন সে আমার সন্তানের মা। আমার নয় বছরের সাংসারিক জীবনে অদিতিকে নিয়ে আমার কোনো ধরনের কোনো অভিযোগ নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। বরং আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মানুষদের ভেতরে অদিতি একজন যাকে আমি আজীবন সম্মান করে যাব। তার সঙ্গে এইটাও বলতে চাই, অদিতির যে কোনো সম্মানহানিকর ব্যাপারে আমি এভাবেই ওর পাশে থাকব। আমি আবারও বলছি, অদিতি আমার স্ত্রী না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। সুতরাং আয়াশের মায়ের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের, কোনো ষড়যন্ত্র বা নোংরামিকে আমি মেনে নেব না।

সবশেষে তিনি লিখেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙিয়ে অদিতি এবং আমাকে জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালানো অনলাইন পত্রিকাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সঙ্গে আবারো বলছি এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা কল্পকাহিনী ছড়ানোর দায়ে, আমি ওই সকল অনলাইন পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমি আরও স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, যারা এই নোংরা খেলার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আমি আইনের আওতায় আনব। আমি আশা করব, মূলধারার গণমাধ্যমগুলি আমাকে এই ব্যাপারে সত্য প্রকাশ করে সহায়তা করবেন। কারন দীর্ঘ সময় মিডিয়াতে কাজ করার সুবাধে তাদের কাছে আমার এই দাবি থাকতেই পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here