বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির গৌরবোজ্জ্বল ৪১ বছর : কিছু কথা

0
112


মনিরুজ্জামান টিপু:

১.
দেশ স্বাধীন হবার পরই মূলত বাংলাদেশে জনসংযোগ পেশা হাটি হাটি পা পা করে এগুতে থাকে। প্রথমদিকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে, পরে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগ কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। এভাবে জনসংযোগ পেশা যখন ক্রমশ বিস্তার লাভ করতে থাকে, তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৬০/৭০ জন কর্মকর্তা জনসংযোগ পেশাজীবীদের জন্য একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠার তাগিদ অনুভব করেন। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৭৯ সালের ২২ জুলাই হোটেল পূর্বাণীতে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে ” বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি ” আত্মপ্রকাশ করে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী জনাব এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
২.
প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হচ্ছেন জনাব নুরুল ইসলাম ( তৎকালীন পরিচালক, জনসংযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ও মহাসচিব জনাব জহিরুল ইসলাম (তৎকালীন প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা, বি এ ডি সি) । পরবর্তীতে অনেক স্বনামধন্য জনসংযোগ ব্যক্তিত্ব সভাপতি ও মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন,যাদেরকে জনসংযোগের পথিকৃৎ হিসেবেই সকলে মনে করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন -জনাব তাজুল ইসলাম ( পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব), জনাব তোয়াব খান ( পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব ও বর্তমানে জনকন্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক), জনাব আবদুল খালেক ভুঁইয়া ( সাবেক পরিচালক, জনসংযোগ, বিটিসিএল), জনাব আবুল কালাম আজাদ ( পরবর্তীকালে সাংসদ ও তথ্যমন্ত্রী), জনাব শামসুদ্দিন আহমেদ ( সাবেক পরিচালক, জনসংযোগ, পিডিবি) প্রমুখ।
৩.
এঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৮২ সালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব জনসংযোগ বিষয়ে একটি DO ইস্যু করেন। যেখানে জনসংযোগ পেশাকে Specialized পেশা ও জনসংযোগ কর্মকর্তাদের Specialist হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয় এবং জনসংযোগ বিষয়ে একটি গাইড লাইন দেয়া হয়।
৪.
এরপর পেরিয়ে গেছে অনেক বছর। এরমধ্য এ পেশায় এসেছে বৈচিত্র্য, যুক্ত হয়েছে ব্রান্ডিং, মার্কেটিং। এসেছে নতুন মাত্রা,নতুন চ্যালেঞ্জ। এসব মোকাবিলা করেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি।
৫.
এই শুভলগ্নে সকল শুভানুধ্যায়ী, পৃষ্ঠপোষক কে জানাই আমাদের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here