বাংলা খবর ডেস্ক:
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিল বিহার। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানালেন, ‘মঙ্গলবার সকালে সুশান্তের বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন ডিজিপি। তিনি সিবিআই তদন্তে সম্মতি দিয়েছেন। তাই এবার এই তদন্তে আমরা সিবিআইকে সুপারিশ করছি।’
এর মধ্যে বিহার পুলিশ সুশান্তের বন্ধু, ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও জেরা করেছে। এই সিদ্ধার্থই দাবি করেছিলেন, সুশান্তের পরিবার তাঁকে চাপ দিয়ে রিয়ার বিরুদ্ধে বয়ান দিতে বাধ্য করেছে। সুশান্তের ম্যানেজার দীপেশ সাওয়ান্তের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে জেরা করেছে বিহার পুলিশ। সুশান্তের দিদি, প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখণ্ডে, তাঁর রাঁধুনি, বন্ধু, মনোবিদ এবং পরিচালক রুমি জাফরি সেই তালিকায় রয়েছেন।
তবে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে এখনও জেরা করতে পারেনি বিহার পুলিশ। তারা জানিয়েছে, রিয়া নিখোঁজ। রিয়ার কৌঁসুলি জানিয়েছেন, বিহার পুলিশ তাঁর মক্কেলকে কোনও নোটিস বা সমন দেয়নি। সুশান্তের বাবা পাটনার থানায় রিয়ার বিরুদ্ধের এফআইআর দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, রিয়াই সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন।
তদন্ত করতে মুম্বই গেছে পাটন পুলিশ। তার পর থেকেই এই তদন্ত নিয়ে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে পাটনা পুলিশের। সোমবার তা চরমে পৌঁছয়। সুশান্তের তদন্তে মুম্বই আসা আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারিকে জোর করে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়। টুইটারে এই নিয়ে অভিযোগ করেন বিহার পুলিশের ডিজি গুপ্তেশ্বর পান্ডে। মুম্বই পুরসভার বক্তব্য, উড়ানের এসেছেন বলে সরকারি নির্দেশিকা মেনে বিনয়ের হোম–কোয়ারেনটাইনে থাকা উচিত। এই নিয়ে মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর মতে, সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করার এক্তিয়ার মুম্বই পুলিশেরই রয়েছে। বিহার পুলিশের নেই। কারণ অভিযোগ দায়ের হলে স্থানীয় থানার ওপরই তদন্তের ভার বর্তায়।