বাংলা খবর ডেস্ক:
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও নারী আটজন। আর মোট মারা গেছেন ৩ হাজার ২৬৭ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন পুরুষ ২ হাজার ৫৭৪ জন (৭৮.৭৯%) ও নারী ৬৯৩ জন (২১.২১%)।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে একজন, এবং রংপুর বিভাগে একজন।
বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১-৫০ চারজন, ৫১-৬০ আটজন, ৬১-৭০ ১০ জন, ৭১-৮০ ছয়জন, ৮১-৯০ একজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন।
হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বাড়িতে দুইজন।
আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা।
তিনি আরো জানান, এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২ হাজার ৬৫৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৯৬৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ১৬০টি। শনাক্তের হার ২৩.৭৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৯০ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫০ জন। সুস্থতার হার ৫৭.৪৬ শতাংশ।
৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকার।
১৮ মার্চ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
ওদিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বিশ্বে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে এক জনের প্রাণহানি ঘটছে। বিগত দুই সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানায়, করোনায় বিশ্বজুড়ে গড়ে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫ হাজার ৯০০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। এতে প্রতি ঘণ্টায় দাঁড়ায় ২৪৭ জন বা প্রতি ১৫ সেকেন্ডে এক জন।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবারে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যায় প্রথমের সারিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও মেক্সিকো এবং দেশগুলোতে এখনো বাড়ছে।
মাঝে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কমলেও দেশটিতে দুটোই ফের ঊর্ধ্বমুখী। বিগত সপ্তাহে দেশটিতে টানা চার দিন প্রতিনিয়ত ৬০ হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া ভারতের প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে ৫০ হাজারের বেশি জন করে। এদিকে ব্রাজিল ও মেক্সিকোতেও সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই।