দুর্নীতি বন্ধ হলেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি

0
93

বাংলা খবর ডেস্ক:
অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী অর্থের প্রবাহ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি ঋণ, বিনিয়োগ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে অর্থের জোগান।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশও করোনার প্রভাব মোকাবেলায় দেশি-বিদেশি ঋণ নিচ্ছে এবং বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়াচ্ছে। এসব অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ এবং স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা পেলেই কেবল দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি।

সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করা হয়েছে।

‘করোনা মহামারী মোকাবেলায় ঋণ ও বিনিয়োগে দুর্নীতি প্রতিরোধ’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় অর্থের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুর্নীতি বন্ধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

সূত্র জানায়, বহুজাতিক সংস্থাগুলো থেকে বাংলাদেশ ২৮০ কোটি ডলারের ঋণ গ্রহণ করেছে। এর একটি অংশ দিয়ে করোনা মোকাবেলায় মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী, হ্যান্ড গ্লাভসসহ নানা ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী আমদানি করা হয়েছে। এসব কেনাকাটায় ইতোমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) অন্যান্য সংস্থা।

বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি যত দ্রুত পড়েছে, অনেকটা তত দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে। অনেকটা ‘ভি’ আকৃতিতে। অর্থাৎ করোনার কোপে হঠাৎ করেই অর্থনীতি পড়ে গেছে, তেমনি বড় বিনিয়োগ, ঋণ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব উৎস থেকে বাজারে ব্যাপক হারে টাকা ছাড়ার কারণে অর্থনীতি দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে।

এতে আরও বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলো করোনার প্রভাব মোকাবেলায় নিজস্ব উৎস, বিদেশি উৎস এবং বহুজাতিক সংস্থাগুলো থেকে ঋণ গ্রহণ করছে। এসব অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবে। কেননা সরকারগুলোর পক্ষে দ্রুত অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুনীতির বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা হবে কঠিন কাজ। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ঋণদাতা দেশ ও সংস্থার সহায়তা গ্রহণ করতে পারে সরকার।

এসব ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে দাতা সংস্থাগুলোর শর্ত বাস্তবায়ন, সরকারের ঋণ, সরকারি সংস্থাগুলোর দায়দেনা এবং বিভিন্ন উপকরণের বিপরীতে ঋণের তথ্য জনগণের সামনে প্রকাশ করা।

এছাড়া ঋণের অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতিতে হিসাব সংরক্ষণ, অর্থ ব্যবহারের সব ধরনের গোপনীয়তা প্রকাশ, ঋণের বিপরীতে নিজস্ব উদ্যোগে জামানত গ্রহণ এবং তার সঠিক ব্যবহার করলেই সরকারের ঋণ গ্রহণ সীমিত থাকবে।

করোনার প্রভাব মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৭৩ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৩৮ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ডলার এবং এশীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার পেয়েছে। এছাড়া ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক জ্বালানি তেল আমদানিতে ঋণ দিচ্ছে। জাইকা তিন মাস পরপর ৫-৭ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি ছাড় করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here